• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০১৯, ০১:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২, ২০১৯, ০১:১২ পিএম

পেট্রোলপাম্প ধর্মঘটে বিপাকে চালক ও যাত্রীরা

পেট্রোলপাম্প ধর্মঘটে বিপাকে চালক ও যাত্রীরা
৩ বিভাগে পেট্রোলপাম্পগুলোতে চলছে ধর্মঘট- ছবি : সংগৃহীত

পরিবহন ধর্মঘটের পর পেট্রোলপাম্পের কর্মবিরতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ 

১৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের সব পেট্রোলপাম্পে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। বন্ধ রয়েছে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন। তেল ও পেট্রোল বিক্রি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন চালকরা।

ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। এরই মধ্যে এসব এলাকায় মোটর সাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহনের চলাচল কমে গেছে।

সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে পেট্রোল, ডিজেলসহ জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরি। পেট্রোল পাম্প ও তেলের ডিপো বন্ধ থাকায় তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে যানবাহনগুলো।

কমিশন বৃদ্ধি, মহাসড়কে পুলিশ হয়রানি বন্ধ ও লাইসেন্স জটিলতার সমাধানসহ ১৫ দফা দাবিতে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের সব পেট্রোলপাম্প ও তেলের ডিপোতে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পাম্পগুলোতে বন্ধ রয়েছে পেট্রোলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেল বিক্রি।

ধর্মঘটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বাস-ট্রাক চালকরা। তারা বলছেন, ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে যান চলাচল। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি, ব্যাঘাত ঘটবে পণ্য পরিবহনেও।

সম্প্রতি পরিবহন ধর্মঘটের পর এবার পেট্রোলপাম্পের কর্মবিরতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ এবং ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলছেন, দাবি পূরণে কার্যকরী আশ্বাস না পেলে অব্যাহত থাকবে কর্মসূচি।

রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ওয়াইজুল হক বলেন, ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনড় থাকবো।

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে গত আট মাসে কোনও সিদ্ধান্ত না দেয়াতে আমাদের ধর্মঘটে যেতে হয়েছে। আশা করি, আমাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার তা করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

রংপুর জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলেব।

খুলনার খালিশপুরের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি তেল ডিপোর তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখে কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক। ধর্মঘটের ফলে অতিরিক্ত ট্রাক-লরির চাপে ফিলিং স্টেশন, ট্রাক-লরি স্ট্যান্ডে জায়গা না হওয়ায় ট্রাক-লরিগুলোকে সড়ক-মহাসড়কের দুইপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

১৫ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে ১৫ ডিসেম্বর (রোববার) আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

এইচএম/এসএমএম