ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) গ্রাহক সেবা নিতে সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের আহ্বান জানিয়ে নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসের (এনওসিএস নর্থ) প্রধান প্রকৌশলী মজিবুর রহমান বলেছেন, আপনারা যেকোনো সেবা ও সমস্যা সমাধানের জন্য দালালদের কাছে না গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করে নিজেদের সমস্যাগুলো জানাবেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করবো।
 
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিপিডিসি মগবাজার নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস কার্যালয়ে  (এনওসিএস) আয়োজিত গ্রাহকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
মজিবুর রহমান বলেন, গ্রাহকরাই আমাদের মালিক। মগবাজার ডিপিডিসির অধীনে ৪১ হাজার গ্রাহক আছন। তাদের সেবা দেয়ার জন্য আমাদের কর্মীরা অপেক্ষায় থাকেন। সুতরাং আপনার এলাকার বিদ্যুৎ নিয়ে যেকোনো সমস্যার কথা সরাসরি স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অথবা সরাসরি আমার কাছে আসবেন। 

মতবিনিময় সভায় মগবাজার ডিপিডিসির শতাধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকে তাদের সমস্যার কথা বলেন। অনেকে ডিপিডিসির মগবাজার এনওসিএস’র কর্মীদের কাজের প্রশংসা  করেন।
 
রামপুরার গ্রাহক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা যখনই অভিযোগ জানাই সঙ্গে সঙ্গে এখানের কর্মীরা গিয়ে আমাদের কাজ করে দেন। তাদের সেবায় আমরা খুই সন্তষ্ট। তিনি বলেন, আমি এই অফিসে দীর্ঘদিন ধরে আসা-যাওয়া করি। এখানের কর্মকর্তারা যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন।
 
সভাপতির বক্তব্যে মগবাজার এনওসিএস এর ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মীরা গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান করে দেন। তারপরও আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। আপনারা সব সময় সরাসরি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। 
গ্রাহকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ফোনে যখন অভিযোগ দেন তখন আপনাদের বাসার ঠিকানা সুনির্দিষ্টভাবে দেবেন যাতে আমাদের কর্মীরা দ্রুত আপনার ঠিকানায় গিয়ে সেবা দিতে পারেন।  
মিটার না দেখে বিল করার বিষয়ে একজন গ্রাহকের অভিযোগের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী মজিবুর রহমান বলেন, কোন বাড়ির কোন মিটারে এ ধরণের বিল করেছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমাদেরকে জানাবেন তাহলে যে কর্মকর্তা  এ ধরণের কাজ করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের সুবিধা হবে।  
ভিন্ন ভিন্ন মাসে বিদ্যুৎ বিল কম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, শীতকালে বিদ্যুৎ ব্যবহার কম হয়, তখন বিল কম হতে পার। গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়, তখন বেশি হতে পারে। তারপরও কারও মিটারে যদি অস্বাভাবিক হারে মাস ভিত্তিক বিল কম বেশি হয়, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে জানালে আমরা তদন্ত করে দেখবো। 

এনওসিএস মগবাজারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিপিডিসি তেজগাঁও বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার, খিলগাঁও বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।  অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মগবাজার এনওসিএস এর অফিস সুপার রেজাউল করিম।

টিএস/বিএস