• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২০, ০৪:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৯, ২০২০, ০৪:৩৭ পিএম

ধানের জমিতে হাঁটু পানি

ধানের জমিতে হাঁটু পানি
সংগৃহীত ছবি

বৃষ্টির হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার কৃষকরা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এমনিতেই শ্রমিক সঙ্কট তীব্র হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুততম সময়ে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব না হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখ দেখতে হবে কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে যশোর পৌর এলাকা ও ১১টি ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ছয় হাজার ৯২০ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে— এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমিতে হাঁটু পানি জমে গেছে। এর আগেই ঝড়ো বাতাসে কোথাও কোথাও ধানগাছ নুয়ে পড়ে।

উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের কৃষক আবু সালাম বলেন, বৃষ্টির কারণে এক বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হবে। মণ প্রতি এক হাজার টাকার উপরে ধান বিক্রি করতে না পারলে লোকসান হবে। একই সমস্যার কথা জানালেন ওই এলাকার কৃষক হোসেন কারিগর, রেজাউল, জাকির হোসেনসহ কয়েকজন।

সিংহঝু‌লি গ্রা‌মের সা‌বের আলী সরদার ব‌লেন, জমির দিকে তাকালেই চোখ ভিজে যাচ্ছে। ধান হয়তো অধিকাংশটাই কে‌টে আনা যা‌বে। কিন্তু গো-খা‌দ্যের চরম সঙ্কট দেখা দে‌বে।

হুদাফ‌তেপুর গ্রা‌মের মাওলানা আলী আকবর ব‌লেন, ধান চা‌ষে ক্রমাগত লোকসান গুন‌তে গুন‌তে গত বছর ২০ বিঘা জ‌মি‌তে মা‌ছের ঘের ক‌রে‌ছি। এ বছর যে ধান চাষ ক‌রে‌ছি, তাও পা‌নি‌তে তলিয়ে যাচ্ছে। প্র‌তি‌দিন বৃ‌ষ্টি হ‌চ্ছে। শ্র‌মিক পা‌চ্ছি না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, আমরা কৃষকদের আগে থেকেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। বেশিরভাগ কৃষকই পশু খাদ্যের জন্য পাকা ধানের শুকনো গাছ সংগ্রহ করেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ বছর তাদের শুধু ধান সংগ্রহ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ডেইলিস্টার।

এসএমএম

 

আরও পড়ুন