• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২০, ০৫:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১০, ২০২০, ০৫:৪০ পিএম

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাউছিয়া মার্কেটের কর্মীদের বিক্ষোভ

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাউছিয়া মার্কেটের কর্মীদের বিক্ষোভ
ছবি ইউএনবির সৌজন্যে

ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের কর্মীরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে রোববার (১০ মে) এক ঘণ্টার জন্য মিরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

শ্রমিক কর্মচরী ইউনিয়নের সভাপতি জুয়েল মোল্লা বলেন, গাউছিয়া মার্কেটের বেশিরভাগ দোকান মালিক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে দোকান বন্ধ করে রেখেছেন।

‘এই করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন শ্রমিকরা কীভাবে বেঁচে থাকবে?,’ বলেন তিনি। মার্কেট মালিকদের সদস্যদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন কেউই শ্রমিকদের কথা ভাবছেন না।

দোকান মালিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় রাস্তায় নামার কথা উল্লেখ করে আন্দোলনকারী মার্কেট শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, রোববার (১০ মে) থেকে সরকার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিলেও, কিছু মার্কেট মালিক তাদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে গাউছিয়া মার্কেটের সামনে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে এবং বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। 

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ইউএনবিকে জানান, রাজধানীতে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশিরভাগ শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ থাকলেও পুরান ঢাকার ইসলামপুর মার্কেট, চকবাজার, কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ীর আয়েশা মার্কেট, ধানমন্ডির রাপা প্লাজা, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট এবং নগরীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকার দোকানগুলো রোববার থেকে আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে ব্যস্ততম গুলিস্তান মার্কেট, বঙ্গবাজার, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, পুরান পল্টনের পলওয়েল মার্কেট এবং মিরপুর এলাকার মার্কেটগুলোসহ রাজধানীর বেশিরভাগ শপিংমল ও মার্কেট ঈদ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান। 

এর আগে, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম নিউমার্কেট, মৌচাক, আনারকলি মার্কেট কর্তৃপক্ষ তাদের মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নগরবাসীকে সরকার ঘোষিত সময়সূচি ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে স্ব স্ব এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মার্কেট থেকে তাদের ঈদের কেনাকাটা শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রতিটি শপিংমলের প্রবেশপথে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন এবং প্রতিটি দোকানে পৃথক তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। 

মঙ্গলবার (৫ মে) সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনা বজায় রেখে ১০ মে থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার জন্য দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে।

এসএমএম

আরও পড়ুন