• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯, ০৯:১২ এএম

সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্পে কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন

সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্পে কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন
সেচের জন্য সোলার প্যানেল

 

কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে চুয়াডাঙ্গায় সৌর চালিত সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে যেমন সময় অপচয় কম হবে, তেমনি গভীর নলকূপের তুলনায় সেচ খরচও কম হবে। 

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের কেশবপুর, জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর ও হাউলি ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মাঠে তিনটি সৌর চালিত ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। 

দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর ও কেশবপুর গ্রামের মাঠে ইত্যেমধ্যে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। 

এছাড়াও বিষ্ণপুর মাঠের পাম্প বসানোর কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। আগামি কয়েক দিনের মধ্যে এটির সেচ কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ইডকলের অর্থায়নে ওয়েভ ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করছে। 

ওয়েভ ফাউন্ডে সোলার ডিপ ইমিগ্রেশনের সমন্বয়কারী কিতাব আলি জানান, বিদ্যুৎ বিহীন মাঠে এই পাম্প বসানো হচ্ছে। প্রথমে মাঠে পানি পরীক্ষা করে আর্সেনিক মুক্ত এলাকায় কৃষকদের মতামতের ভিতিত্বে ১০ কাঠা জমি প্রতি বছরে ৫/৬  হাজার টাকা চুক্তিতে লিজ নেওয়া হয়। পরে ওই জমিতে ৬৩ লাখ টাকা ব্যায়ে মেসিনের ঘর, দুই সারিতে ১৩৬টি সৌর প্যানেল, মাটির নিচ দিয়ে পাইপ বসানোর হয়েছে। জমির ৪ ফুট মাটির  নিচ থেকে পাইপ বসানো হয়েছে। যাতে করে চাষিদের চাষ কাজের কোন অসুবিধা বা জমি অপচয় না হয়। এই ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প থেকে ২০০ বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। সৌর প্যানেলে সংযোগ দেওয়ার কাজসহ সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখান থেকে প্রতি ঘণ্টায় আড়াই লাখ লিটার পানি উত্তোলিত হবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই পাম্প চালানো যাবে। রাতে কখনোই এই পাম্প চালানো যাবে না। 

জানা গেছে, সম্প্রতি দামুড়হুদার কাদিপুর গ্রামের মাঠ ও কেশবপুর মাঠে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিষ্ণুপুর মাঠে সেচ কার্য়ক্রম শুরু করা হবে। সোলার ডিপ ইরিগ্রেশনের আওতায় চাষিরা চাষ করে অনেক সুবিধা পাবেন। যেখানে গভীর নলকূপে বছরে সেচ খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। অগভীর নলকূপে স্যালো ইজ্ঞিনে প্রতি বছর খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। সেখানে সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্পের আওতায় প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে সেচ খরচ ধরা হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৫ শত টাকা। 

ওয়েভ ফাউন্ডেশন জানায়, ২০ বছর এই ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প পরিচালনা করবেন। এখানে একজন মাসিক চুক্তিতে চালক নিয়োগ দেওয়া হবে। চাষিরা চালককে তার জমিতে পানির প্রয়োজন জানালেই সে জমিতে পানি দেওয়া হবে। 

আরো জানান, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলায় বিদ্যুৎ বিহীন আর্সেনিক মুক্ত এলাকায় পর্যায় ক্রমে চলতি সেচ মৌসুমে ৩০টি সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প স্থাপন করা হবে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলাই ১৪টি সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প চালু করা হয়েছে।

বিএস