• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০১৯, ০৩:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০১৯, ০৯:০৯ পিএম

প্রেম আর ব্রেকআপ

নুসরাত ফারিয়ার জীবনটাই বোরিং

নুসরাত ফারিয়ার জীবনটাই বোরিং

নুসরাত ফারিয়া মাজহার। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আত্মবিশ্বাস আর সৌন্দর্যের জৌলুস ফুটে উঠল কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকায় দেয়া তার এক সাক্ষাৎকারে।
 
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,  প্রথমে দিকে ভাবিনি অভিনেত্রী হবো। স্টেজ শোতে অংশ নিই। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতাম। সেখান থেকে আরজে হই। তারপর প্রথম সিনেমার প্রস্তাব এলো। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ ভাই বললেন, সিনেমা করার কথা। আজিজ ভাই আর এসকে মুভিজের কর্ণধার যৌথভাবে ‘আশিকী’ তৈরি করেন। অঙ্কুশ আমার নায়ক ছিল।
 
প্রথমবার খুব টেনশন ছিল সিনেমাটা কেমন হবে। কারণ, ২০১৫ সালে কুরবানি ঈদে ‘আশিকী’ মুক্তি পায়। সেসময় সঙ্গে আরও বিখ্যাত সিনেমাও মুক্তি পায়। কিন্তু আমাদের সিনেমাটা ভালো চলে। এক রাত্রের ‘আশিকী’র সাফল্যই আমাকে অভিনেত্রী বানিয়ে দিল। বাংলাদেশে প্রচুর রেসপন্স ছিল। আমি ডিবেট দিয়ে শুরু করে সিনেমায় এলাম। মূলত আমি এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। মাঝে আর কিছুই করিনি। তবে ‘আশিকী’র পর নিজেকে সংশোধন করতে শুরু করলাম।

সংশোধনের বিষয়ে নুসরাত ফারিয়া বলেন, দেখুন মানুষ ভাবে বাংলাদেশের নায়িকা মোটা হবে। এই রীতি আমি ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নিজের মধ্যে এমন কিছু আনতে হবে যার জন্য মানুষ আমার প্রতি আকৃষ্ট হবে। আমি একদিন টেলিভিশন না দেখে থাকতে পারব, কিন্তু জিমে না গিয়ে পারব না। জিমে কোন দিন কী পোশাক পরব সেটাও আমার ঠিক করা থাকে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও তাই। আমি হোটেলে থাকলে শেফের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিই। বলে দেই, ভালোবেসে আমাকে বেশি দিবেন না। আমি কমেই খুশি।

নিজের শর্টড্রেসের বিষয়ে বলেন, দেখুন ড্রেস নিয়ে সমালোচনা আমায় প্রতিনিয়ত শুনতে হয়। আমি যে কাপড় পরে আরামবোধ করি, আমায় মানায়, আমি তা-ই পরি। আমি মানুষের কথায় চললে এই জায়গায় আসতে পারতাম না। মানুষ যক্ষের দৃষ্টি দিয়ে থাকে আমি কী কী করছি, পরছি।

আল্লাহ মেহের বান... গানের সমালোচনা প্রসঙ্গে নুসরাত আনন্দবাজারকে বলেন, আমি জানি, অনেকে আমাকে এই গান নিয়ে যাচ্ছে- তাই বলেছিলেন। আমার মনে হয়, সবার এতটুকু বিবেচনা থাকা উচিত যে এটা শুধুই অভিনয়। কোনও কিছুকে আঘাত করার জন্য নয়। কোনো শিল্পীই তার নিজের পছন্দমতো গানের সঙ্গে পোশাক পরে নাচ করতে পারে না। এটা পুরো টিমের সিদ্ধান্ত। অথচ এই গানটির জন্য তিন মাস পরিশ্রম করেছি। নাচের প্রতি মনোযোগ দিয়েছি। শুধু এটুকুই বলবো।

এ বছর নুসরাত ফারিয়া দুটি সিনেমায় অভিনয়ে করেছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ‘শাহেনশাহ’তে অভিনয় করেছেন শাকিব খানের বিপরীতে। আর কলকাতায় অঙ্কুশের বিপরীতে ‘বিবাহ অভিযান’ সিনেমায়। তার অভিনীত ১০ সিনেমার ৭টিই ছিল কলকাতার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কলকাতা আমার আরেকট বাড়ি। এখানকার মানুষ, চলচ্চিত্রশিল্প, প্রতিটি ইউনিট ও স্পট বয় আমার চেনা।

অসংখ্য প্রেমের প্রস্তাব আসে প্রতিনিয়ত নুসরাত ফারিয়ার কাছে। সেটা দেশি ও বিদেশি প্রেমিকদের কাছ থেকে। সেসব অসংখ্য প্রস্তাব সামলানোর ব্যপারে তিনি বলেন, এসব সামলানোর কিছু নেই। আমি মনে করি প্রেম, ভালোবাসার প্রস্তাব আসলে ব্লেসিংস। আমি কোনোটাই প্রপোজাল হিসেবে নিই না। মানুষ আমায় নিয়ে ভাবছে, এটা ভাবতেই ভালো লাগে। এছাড়া আমার কাছে প্রেম তিন মাসের বেশি টেকে না। আবার ব্রেকআপ জোনে চলে যাই। তারপর আবার প্রেম। এটা একজন অভিনেত্রীর জন্য খুব হেলদি। আর এই ব্রেকআপ হয়েছিল বলেই ‘পটাকা’র মতো গান করতে পেরেছি। যা সুপারহিট।

এসজে