• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০১:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ১০:৫৩ পিএম

শ্রীলংকায় হতাহতদের উৎসর্গে ‘ত্রিংশ শতাব্দী’

শ্রীলংকায় হতাহতদের উৎসর্গে ‘ত্রিংশ শতাব্দী’

শ্রীলংকায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতাহতদের উৎসর্গ করে আগামী ১৮ মে শনিবার মঞ্চ নাটক ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র বিশেষ মঞ্চায়ন হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রদর্শনি হবে। বাদল সরকারের মূলরচনা অবলম্বনে যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার প্রযোজনা ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।

যুদ্ধোন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র মূলকাহিনি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অপ্রত্যাশিত পরিণতি। এর সমান্তরালে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বসনিয়া-ফিলিস্তিন, আফগানিস্থান, পাকিস্তান-ভারত, ইরাকে আগ্রাসন, কুয়েত-তিউনিশিয়া-ইয়ামেন-সিরিয়া-তুরস্ক-মিয়ানমার ও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে বর্বর হামলা। এছাড়াও ঢাকায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী হত্যা, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে এবং শ্রীলংকায় সাম্প্রতিক অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা প্রভৃতি প্রসঙ্গ। 

‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনায় নানাবিধ দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ উদঘাটিত হয়েছে। সেই সাথে এসব কাজের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্রও উদঘাটিত হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষ হিসেবে বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন। এক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্তগ্রহণের মুখোমুখি স্থাপনই ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার প্রত্যাশা। আর প্রযোজনাটির উপস্থাপনায় প্রয়োগ করা হয়েছে হাজার বছরের নাট্য-ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক ‘বাঙলা নাট্যরীতি’।

এসজে