• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ০১:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০১৯, ০১:০৮ পিএম

পরীমনির বাগদান ভাঙার নেপথ্যে

পরীমনির বাগদান ভাঙার নেপথ্যে

চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রসাংবাদিক তামিম হাসানের বাগদান ভেঙে যায় অনেক আগেই। তবে এ সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন। কিন্তু ঘটনার সত্যতা প্রকাশ্যে আনেন নায়িকা পরীমনি। তিনি গতকাল সোমবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে নিজেদের বাগদান ভেঙে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে তামিম-পরীর আংটি বদলের মাধ্যমে বাগদান সম্পন্ন হয়। তার আগে টানা দুই বছর তারা লিভ টুগেদার করেছেন। দেশ-বিদেশে ঘুরেছেন, ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছেন। তারও আগে তারা দীর্ঘদিন প্রেম করেছেন ছুটিয়ে। কিন্তু বাগদানের দুই মাস না পেরুতে কেন তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরলো? এমন প্রশ্ন অনেকের।

এ প্রসঙ্গে পরীমনি জানান, বিগত দিনে তিনি অনেক ভুল করেছেন। সেগুলো এখন শোধরাতে চান। সেই সাথে এখন থেকে নিজের কাজকেই বেশি ফোকাস করতে চান। তাই বয়ফ্রেন্ড তামিম আর তার ছবি নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে মুছে নিয়েছেন। আর বাগদানের আংটি সম্পর্কে বলেন, ‘আংটিটি অনেক বড় হওয়ায় বাগদানের পরের দিনই আমি ওটা খুলে রেখেছি।’ সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্পর্ক তো সেটাই শেষ হয়, যেটা আসলে সৃষ্টি হয়।’

তামিমের সঙ্গে এক ছাদের নিচে বাস করা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘আমরা কখনোই এক ছাদের নিছে ছিলাম না, তাই আলাদা থাকারও কিছু নেই। বরং তামিম আমাকে দুই বছর ধরে কাজ থেকে দূরে রেখেছিল । আমার কাছে প্রেম-ভালোবাসা কাজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

পরীমনি বলেন, ‘কেউ আমার কাজকে অসম্মান করলে আমি সেখানে আপস করি না। তামিমও আমার পেশাগত কাজে চরম আপত্তি করতো। সে কখনোই আমার কাজকে সম্মান দেয়নি। এমনকি সে আমাকে নিয়ে সন্দেহ করতো। অথচ প্রেমের ক্ষেত্রে আমি কখনো লুকোচুরি করিনি, ঢাকঢোল পিটিয়েই করেছি। আমার কাজটাও সম্মানের। সেটা নিজেরা বুঝতে পারা অনেক বেশি দরকার।’

বাগদান ভেঙে যাওয়ার আগেই চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ নামের একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন পরীমনি। গুঞ্জন আছে ওই চলচ্চিত্রে পরীর কাজ করা নিয়েও তামিমের প্রচণ্ড আপত্তি ছিল। কিন্তু পরী তামিমের কথায় কর্ণপাত না করে ওই চলচ্চিত্রে কাজ করেন। মূলত এই ইস্যুতেই তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আর সেটাই তাদের বাগদান ভাঙার পথ দেখালো। বাগদান ভাঙার ঘটনায় পরীমনি গণমাধ্যমে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর থেকে তামিম হাসান তার সেলফোনটি বন্ধ রেখেছেন। এমনকি তার সহকর্মী, কাছের বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও দূরে সরে আছেন। অনেকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

এসজে