গায়ে মলিন শার্ট। কাঁধে গামছা। ক্লান্ত অথচ পরিশ্রমী যুবক রাস্তায় পাঁপড় বিক্রি করছেন। ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, যুবকটি আমাদের চেনা কেউ। তিনি হৃতিক রোশন। ‘সুপার থার্টি’ সিনেমার শুটিংয়ে ঠিক এই মেকআপেই ছিলেন নায়ক। আগামী ১২ জুলাই মুক্তি পাবে এটি। তার আগে শুটিংয়ের বিশেষ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি।

সিনেমার শুরু থেকেই বিতর্ক। কখনও প্রযোজনা সংস্থা ভেঙে যাচ্ছে, কখনও বা পরিচালক যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত হচ্ছেন। বারবার বদলেছে ‘সুপার থার্টি’র মুক্তির দিন। গত দুই বছর হৃতিকের কোনও সিনেমা মুক্তি পায়নি। নতুন নতুন হিরোদের ভিড়ে হৃতিক খানিক কোণঠাসাই বলা যায়। ‘সুপার থার্টি’ দিয়ে নিজের হারানো জায়গাটা উদ্ধার করতে চাইছেন তিনি। সম্ভবত সে কারণেই প্রত্যেকটা বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে সিনেমাটা বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। ভেঙে যাওয়া ফ্যান্টম ফিল্মসের এটাই শেষ সিনেমা। বিকাশ বহেলের বিরুদ্ধে #মিটুর অভিযোগ উঠতে, হৃতিক পরিচালকের নাম সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন। তদন্তে বিকাশের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণিত না হওয়ায় অবশ্য পরিচালক হিসেবে তার নামই যাচ্ছে।

‘সুপার থার্টি’ এবং নিজের কেরিয়ার দুইই বাঁচানোর তাগিদে কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে সংঘর্ষও এড়িয়েছেন হৃতিক। ঠিক ছিল জানুয়ারিতে ‘সুপার থার্টি’ রিলিজ করবেন। কিন্তু কঙ্গনা ওই দিনই ‘মণিকর্ণিকা’র মুক্তি ঘোষণা করেন। সম্মুখ যুদ্ধ এড়িয়ে হৃতিক তার সিনেমা পিছিয়ে দেন। আবার সমস্যা হয় কঙ্গনার ‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া’র সঙ্গে। এবারও হৃতিক নিজের অবস্থান বদলান। নিজের প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কোনও উটকো বিষয়কে প্রাধান্য দিতে চাইছেন না তিনি।

অভিনেতা হৃতিকের কাছেও এ সিনেমা একটা পরীক্ষা। বিহারের গণিতজ্ঞ আনন্দ কুমারের জীবনী নিয়ে তৈরি ‘সুপার থার্টি’। সমাজের নিচুতলার ছেলেমেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য প্রস্তুত করেন আনন্দ। গ্ল্যামারাস অবতার ছেড়ে আনন্দের চেহারার ছাঁচে নিজেকে ঢেলেছেন হৃতিক। চরিত্রের প্রয়োজনে গলার স্বর বদলেছেন। তার এই প্রচেষ্টা কতটা কার্যকর হলো তা সিনেমা মুক্তিতেই বোঝা যাবে।

এসজে