• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০২:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০২:০৯ পিএম

শিল্পকলায় যুদ্ধবিরোধী ‘ত্রিংশ শতাব্দী’

শিল্পকলায় যুদ্ধবিরোধী ‘ত্রিংশ শতাব্দী’

নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দেশ-বিদেশে প্রশংসিত প্রযোজনা নাটক 'ত্রিংশ শতাব্দী'। এর ১০৭তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে আগামী ২২ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা ৭টায়। বাদল সরকারের মূলরচনা অবলম্বনে যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার নাট্য ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র রূপান্তরসহ নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
    
যুদ্ধোন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ নাটক 'ত্রিংশ শতাব্দী'। এর মূলকাহিনি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অপ্রত্যাশিত পরিণতি। এর সমান্তরালে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বসনিয়া-ফিলিস্তিন, আফগানিস্থান, পাকিস্তান-ভারত, ইরাকে আগ্রাসন, কুয়েত-তিউনিশিয়া-ইয়ামেন-সিরিয়া-তুরস্ক-মিয়ানমার-গুলশানে বর্বর হামলাসহ সমসাময়িক ঘটনাবলি। 

‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনায় বহুমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ এবং তাদের কাজের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্র উদঘাটিত হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষ হিসেবে বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন এবং এক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মুখোমুখি স্থাপনই ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার প্রত্যাশা। আর প্রযোজনাটির উপস্থাপনায় প্রয়োগ করা হয়েছে হাজার বছরের নাট্য-ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক ‘বাঙলা নাট্যরীতি’।

‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার গ্রন্থিকেরা হলেন-  জুয়েনা শবনম, ফজলে রাব্বি সুকর্ন, সামাদ ভূঞা, শিশির সিকদার, সুমাইয়া আক্তার, শাখাওয়াত শ্যামল, মেহেদী রানা, সোনালী রহমান, অর্ক অপু ও জাহিদ রিপন। 

এসজে