• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০১৯, ০১:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৫, ২০১৯, ০৩:১৭ পিএম

প্রসেনজিতের ‘গুমনামি’ লুক প্রকাশিত 

প্রসেনজিতের ‘গুমনামি’ লুক প্রকাশিত 

‘গুমনামি’ই কি ভারতের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস? প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। তবে আরও একবার সেই বিতর্কিত প্রশ্ন ছুঁড়েই মুক্তি পেল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গুমনামি: দ্য গ্রেটেস্ট স্টোরি নেভার টোল্ড’ সিনেমার টিজার। এর মাধ্যমে প্রকাশিত হলো প্রসেনজিতের লুক।

হিন্দি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই মুক্তি পেল টিজার।  সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এল ‘গুমনামি’র ভূমিকায় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের লুক। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, চোখে হুবহু সেই গোল ফ্রেমের চশমা। তবে অমিল বলতে মুখের ধূসর দাড়িগোঁফ। সন্ন্যাসী বেশ দেখে বোঝার উপায় নেই সেই রহস্যময় চরিতত্রের। যাকে ঘিরে কৌতূহলের অন্ত নেই। সাদা কালো ফ্রেমে ধরা দিল ভারতীয় ইতিহাসের হারিয়ে যাওয়া কিছু পৃষ্ঠা।

সিনেমাটি মুক্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের লুক বেশ প্রশংসিত হয় নেটদুনিয়ায়। তার সঙ্গে ঝলক মিললো অভিনেতা অনিবার্ণ ভট্টাচার্যেরও। যাকে দেখা যাবে এক সাংবাদিকের চরিত্রে। টিজারটি প্রসঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে এই কথাটাই শুনে আসছি, নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। এমনকি আজও সারাদেশ এবং সংবাদমাধ্যম নেতাজি মৃত্যুরহস্য নিয়ে সন্দিহান। এই সিনেমার প্লট সাজানোর সময় আমার ঠিক যতটা রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হয়েছে, সিনেমা দেখার সময় দর্শকদেরও ঠিক একইরকম অনুভূতি হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

প্রেক্ষাপট ১৯৭০ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদে এক সন্ন্যাসী বাবার আবির্ভবে শোরগোল পড়ে যায় সারাদেশে। তিনি ‘গুমনামি বাবা’। ‘সুভাষ, আমাদের নেতাজি ফিরেছে…’ রব ওঠে ভারতে। অনেকেই মনে করেছিলেন, গুমনামি নামের এই সন্ন্যাসীই ছদ্মবেশি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ঠিক-ভুল কারও জানা নেই। সারাদেশ তখন এই রহস্যভেদে পর্দার নেপথ্যের কাহিনি জানতে মরিয়া। কারণ, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নেতাজি গত হয়েছেন প্রায় বছর ২৫।
 
১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকু থেকে বিমানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। যদিও তার প্রমাণযোগ্য কোনও নথিপত্র নেই। তারপর তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। কাজেই নেতাজির মৃত্যুরহস্যের জট এখনও রয়েছে৷ প্রমাণের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন একজন। চন্দ্রচূড় বাবু। টিজারে যেই চরিত্রে ধরা দিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।

এসজে
 

আরও পড়ুন