• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০২:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০১৯, ০২:০০ পিএম

বাড়ি ফিরলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

বাড়ি ফিরলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

ভালো আছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আপাতত চিন্তামুক্ত। সপ্তাহ খানেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অনেকটাই সেরে উঠেছেন তিনি। সুস্থ হওয়ার খবর অবশ্য আগেই পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন আরও দিন কয়েক হাসপাতালে তাদের তত্ত্বাবধানেই থাকতে। তবে এখন আর সমস্যার কিছু দেখতে পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। তাই গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) অবেশেষে বাড়ি ফিরলেন তিনি। প্রবীণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থার উন্নতির খবরে স্বস্তিতে এখন তার ভক্তরা।

কলকাতার রুবি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। যেই সুবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ডা. সুনীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। প্রবীণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত ছিল গোটা চলচ্চিত্র জগৎ। সেকারণেই সেদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়, আপাতত সংকটমুক্ত অভিনেতা। 

রুবি জেনারেল হাসপাতালের ডিরেক্টর (মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স) ডা. ডিপি সমাদ্দার বলেন, ‘যে অবস্থায় সৌমিত্রবাবুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন তার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক ছিল। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ফুসফুসের সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়েছিল। কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাকে ভেন্টিলেটারে পাঠানো হয়।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই প্রবীণ অভিনেতা।

হাসপাতালের পক্ষে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে জানানো হয়, আবার দু’সপ্তাহ পর তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসতে হবে। এর পাশাপাশি আগামী দিনে রোগী যাতে সুস্থ থাকতে পারেন, তাই বছরে একটি করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পালমনোলজিস্ট ডা. অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানান, আপাতত নিয়মিতভাবে তাকে ইনহেলার নিতে হবে। তাতে শ্বাসকষ্টের অসুবিধা থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলবে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. দিব্যদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, প্রবীণ অভিনেতার বয়সের দিকটি মাথায় রাখতে হবে। ঋতুবদলের সময় নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে তাকে। যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকেও কড়া নজর রাখতে হবে।

এসজে