• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৪:২৭ পিএম

কমপ্লিট ফিল্মের সবগুলো উপাদান আছে ‘অবতারে’

কমপ্লিট ফিল্মের সবগুলো উপাদান আছে ‘অবতারে’

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পেয়েছে মাহমুদ হাসান শিকদার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অবতার’। সকাল থেকে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দর্শক ভিড় জমিয়েছে সিনেমা হলে। সেখান থেকে একজন দর্শক চলচ্চিত্রটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, কমপ্লিট ফিল্মের সবগুলো উপাদান আছে ‘অবতারে’।
 
শৌর্য দীপ্ত সূর্য নামের এই দর্শক একজন নাট্যকার ও নির্মাতাও। তিনি আজ মর্নিং শোতে অবতার দেখে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি সমালোচনা লেখেন। তিনি লেখেন- ‘প্রথমে বলে রাখা ভালো ফিল্ম ক্রিটিসিজম অনেক বড় একটা বিষয়। আমি ক্রিটিক নই। একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে এটা আমার অতি সাধারণ অবজারভেশন।’

তার লেখা সমালোচনার পরের অংশটুকুতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মানুষ পকেটের পয়সা খরচ করে টিকেট কেটে সিনেমা হলে যায় অবশ্যই বিনোদন লাভের আশায়। কিন্তু চরম বিনোদনের মধ্য দিয়েও যে সোশ্যাল কমিটমেন্ট রক্ষা করা যায়, সেটা সফলভাবে অবতার পরিচালক করে দেখাতে পেরেছেন। এই জন্য প্রথমেই পরিচালক ধন্যবাদ পেতেই পারেন।

গল্প চিরায়ত। সৃষ্টির শুরু থেকেই ভালো আর মন্দের যুদ্ধ। সাবজেক্ট সমসাময়িক মাদকের ভয়াবহতা। মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ানক শক্তির বিরুদ্ধে আগমন একজন অবতারের। পুরো চলচ্চিত্রটাকে কাল্পনিক দুই ভাগে করা যায় এই ভাবে- প্রথমার্ধ অবতার প্রাইম আর শেষ অংশ অবতার কনক্লুলেশন। অনেকগুলো জটিল অংকের সমাধান পাওয়া যায় চলচ্চিত্রটির শেষ অংকে। গল্পটার সক্ষমতা আছে দর্শক ধরে রাখার।

কমপ্লিট ফিল্মের সবগুলো উপাদান এখানে বিদ্যমান। গানগুলো ভালো হয়েছে। মনে লেগে থাকার মতো। টাইটেল সং থেকে শুরু করে আইটেম সং, রোমান্টিক সং, সুফী ভাবধারার গানগুলোর কথা, সুর ও কম্পোজিশন উচু মানের। ফাইটিং গতানুগতিক। তামিল বা হিন্দি সিনেমার সাথে তুলনা করলে পরিচালকের প্রতি অবিচার করা হবে।

দর্শক ও সমালোচক শৌর্য দীপ্ত সূর্য

সুফী গানের সাথে দৃশপট কিছুটা অসামঞ্জস্য মনে হয়েছে। লোকেশনের যথেষ্ট ভেরিয়েশন আছে। পুরো সিনেমাটায় গতি আছে। দুই একটা জায়গায় চিত্রনাট্য অসামঞ্জস্য মনে হয়েছে। নির্মাণশৈলী ব্যাকরণ সম্মত ও দৃষ্টি নন্দন। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও কালার মন্দ হয়নি। তবে আরো ভালো করার অবকাশ ছিল।

অভিনয়ে মাহিয়া মাহি, আমিন খান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, মিশা সওদাগর, সিবা সানুসহ সবাই যার যার জায়গা থেকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কোনো কোনো জায়গায় নায়কের মেকআপ ও গেটআপের কন্টিনিটি ব্রেক হয়েছে বলে মনে হয়েছে। নায়ক জেএইচ রুশোর অভিনয় ও অভিব্যক্তির ঘাটতি আছে। নবাগত নায়ক হিসেবে অবশ্য এটা মেনে নেয়ার মতো। তবে নায়কের সম্ভাবনা রয়েছে নেক্সট সিনেমাগুলোতে ভালো করার। এ জন্য তাকে অভিনয়টা আরো একটু ভালো করে রপ্ত করা প্রয়োজন।

সবকিছু মিলিয়ে অনেক দিন পর সিনেমা হলে বসে পুরো চলচ্চিত্র দারুণভাবে উপভোগ করার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য টিম অবতারের। গল্পের বাকি অংশ জানা ও দারুণ সময় উপভোগ করার জন্য দর্শককে অবশ্যই সিনেমা হলে গিয়ে অবতার দেখতে হবে। আমি সত্যি বলছি, সময়টা আপনার ভালোই কাটবে। জয় হোক দেশিয় বাংলা চলচ্চিত্রের।’

এসজে