• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৪:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৪:৫৬ পিএম

নুসরাত না নিখিল, বাড়িতে রাজত্ব করেন কে?

নুসরাত না নিখিল, বাড়িতে রাজত্ব করেন কে?

বিয়ের পর বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। আগে ছিলেন ‘রঙ্গোলি’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এ বছর ‘রঙ্গোলি’ তার পরিবার। বিয়ের পর প্রথম পুজা। খুশি খুশি ভাব তার চোখেমুখে। যেন পাশের বাড়ির সেই মেয়েটি! বিয়ের প্রথম দিনের সোনার আলো আজও তার চোখেমুখে লেগে আছে। সেই মেয়েটি আর কেউ নন, তিনি টালিউড নায়িকা নুসরাত জাহান।

‘অঞ্জলি তো নিয়ম করে প্রত্যেকবার দিই। এবার এই প্রথম আমি আর নিখিল একসঙ্গে অঞ্জলি দেব!’ আজো লজ্জা ফুটে উঠল তার মুখে। সদ্য যেন সন্ধিপুজার পাঁপড়ি ছাড়িয়ে রাখা হলো... সাংসদের দায়িত্ব সামলে, সিনেমার কাজ সেরে যেটুকু সময় পাচ্ছেন সবটাই পরিবারকে দিচ্ছেন নুসরাত। 'আমি এখন রঙ্গোলি পরিবারের একজন। তাই এবার পুজায় সিনেমার প্রসঙ্গ যখন এলো ভাবলাম আমি আমার পরিবারকে নিয়েইশুট করি। তবেই তো পূর্ণতা আসবে’, সোহাগি গলায় বললেন নুসরাত। নিখিল আর নুসরাত ক্যামেরার কাছাকাছি। নিখিলের মুগ্ধচোখ নুসরাতের মুখে আলো হয়ে ঝরলো। ‘নিখিল যে কাজটাই করে ভীষণ গুছিয়ে করে। শুটের জন্য ওর কাছে যা যা ব্রিফ ছিল ও সেটাকে সম্পূর্ণ ফলো করে কাজটা করেছে। ও খুব বাধ্য,’ নুসরাতের নিশ্চিন্ত স্বর।

কে বেশি কার কথা শোনে? ‘এই রে, এই বিষয়টা খুব গোলমালে। বাড়িতে এতো ব্যালান্স করে চলা যায় না। আর আমি খুব বেশি এই বিষয়ে বলতে পারব না। তবে একটা রেফারেন্স দিই। আমি ছোট থেকেই দেখেছি আমাদের বাড়িতে মা যা বলত সেটাই হত। আমি যেভাবে মানুষ, যা ছোট থেকে দেখেছি সেটাই তো হবে! তাই না? আমার ব্যাপারটা আর বললাম না!’ হেসে উঠলেন নুসরাত।

ক্যামেরার খচখচ আওয়াজ। নিখিলের সঙ্গে একের পর এক ছবি তুললেন নুসরাত। ‘তবে নিখিলের মধ্যে যে অভিনয়ের ব্যাপার আছে সেটা এতদিনে জানলাম!’ আপ্লুত নুসরাত। পুজার সাজে সাবেকিয়ানা তার সবচেয়ে পছন্দ। ‘সারা বছর তো আমরা ডিজাইনারদের পোশাক পরি। মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ।কিন্তু বাঙালির পুজো তাঁতের শাড়ি ছাড়া চলে? আমার পুজোর সাজ মানেই সোনার গয়না। খোঁপায় মালা। আর অবশ্যই রঙ্গোলির শাড়ি।’ জোর গলায় বললেন নুসরত।তার পছন্দ ট্র্যাডিশনাল শাড়ি। অষ্টমীর সকাল... স্নান করে নুসরাত পরবেন বাংলার তাঁতের শাড়ি! আর সন্ধেবেলা কনট্রাস্ট পাড়ের কাঞ্জিভরম সিল্ক।

‘সব প্রদেশের দেশজ উইভিংকে রঙ্গোলি ধরে রাখার চেষ্টা করছে।’ উৎসাহ নুসরাতের গলায়। পুজার পরের প্রথম বিয়ে, তাই দু’জনের নিমন্ত্রণ আছে বহু জায়গায়। ‘খুব একটা ঠাকুর দেখা হয় না। সময় পেলাম তো সুরুচি সঙ্ঘে চলে গেলাম। আর মিমির কমপ্লেক্সে আমাদের সকলের একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া থাকে। সেটা মিস করি না আমরা। খুব সুন্দর করে সাজি আমরা সবাই। সাবেক সাজ। জমিয়ে আড্ডা হয়।’ বললেন নুসরাত।

সারাবছর সাঙ্ঘাতিক ডায়েটের মধ্যে থাকেন তিনি এমনটাও নয়। ‘আর পুজার সময় তো একদিকে লুচি, কচুরি-তরকারি যেমন চলে তেমনই পোলাও-মাংসও খাই। পুজায় যা ইচ্ছে তাই খাই। এমনও হয় খেয়ে পেট একদম ভরা। ওমা, আবার তার ওপরেও খেয়ে যাচ্ছি! তবে অষ্টমীর দিন আমি বরাবর নিরামিষ খাই,’ বললেন নুসরাত।

রাজনীতির দৌড়ঝাঁপ ছাড়াও ‘অসুর’-এর শুট নিয়ে ব্যস্ত তিনি। ‘এমন একটা সিনেমায় কাজ করছি যেখানে নানা স্তরে অভিনয় দেখানোর বড় সুযোগ আছে। পাভেল একদম অন্য ধারার পরিচালক। প্রচুর ঝুঁকি নিতে পারে। অন্যরকম করে গল্প বলতে পারে। ‘অসুর’-এ আমার আর আবীরদার অভিনয় করার প্রচুর সুযোগ। বছরে একটা সিনেমা করব কিন্তু এইরকম করব ঠিক করেছি’, যোগ করলেন নুসরাত।

এসজে