• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০১:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০১:৩৭ পিএম

এবার কি সত্যিই শিব সেনায় উর্মিলা!

এবার কি সত্যিই শিব সেনায় উর্মিলা!

কয়েকদিন আগে কংগ্রেস থেকে বিদায় নিয়েছেন একসময়ের বলিউড কাঁপানো নায়িকা উর্মিলা মাতণ্ডকর। তবে কংগ্রেস ছাড়লেও রাজনীতির ময়দান থেকে কিন্তু এখনই বিদায় নিচ্ছেন না তিনি। কারণ ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, উর্মিলা ক্রমশই শিব সেনা ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।
 
সম্প্রতি তিনি শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ব্যক্তিগত সচিব মিলিন্দ নারভেকরের সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন। কাজেই উর্মিলার শিব সেনা যোগদানের গুঞ্জন একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তা বলাই বাহুল্য।

তাহলে কি মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শিব সেনা দলে নাম লেখাতে চলেছেন উর্মিলা? এমন প্রশ্ন কিন্তু রাজনৈতিক মহলে উঠছেই। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের শুরুর দিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলের সঙ্গে মনোমালিন্যের জন্য কংগ্রেস থেকে বিদায় নিয়েছেন উর্মিলা মাতণ্ডকর। উপরন্তু শিব সেনা প্রধানের মুখ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ। আর এতেই যে উর্মিলার শিব সেনা যোগদানের বিষয়টি আরও জোরালো হচ্ছে ক্রমশ, তা বলাই বাহুল্য।

প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর উর্মিলার কংগ্রেস ছাড়ার খবর প্রকাশিত হয়। একেই কংগ্রেসের মন্দা পরিস্থিতি। তার উপর মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের আগে তারকা প্রার্থীর দলত্যাগে কংগ্রেস যে বড়সড় ধাক্কা খেল, তা বলাই যায়। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী উর্মিলা মাতণ্ডকর। লোকসভা নির্বাচনের দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, ৫ মাস কাটতে না কাটতেই মোহভঙ্গ হলো তার। দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলে, ইস্তফা দিয়েছেন উর্মিলা। এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন মুম্বাই নর্থ লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী।
 
সত্যিই কি এবার শিব সেনাতে নাম লেখাতে চলেছেন একদা কং তারকা প্রার্থী? এ প্রসঙ্গে উর্মিলা জানান, উদ্ধব ঠাকরের ব্যক্তিগত সচিব মিলিন্দ নারভেকরের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ শুধুই সৌজন্যমূলক। পাশাপাশি দলে যোগ দেওয়ার খবরও অবশ্য উড়িয়ে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, চলতি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শিবিরের অন্যতম বড় চমক ছিলেন প্রখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী উর্মিলা মাতণ্ডকর৷ প্রবল মোদি হাওয়ার মধ্যেও কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি৷ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভোট ময়দানের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন৷ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারও করেন জোরকদমে৷ কিন্তু এরপরও শেষরক্ষা হয়নি৷ উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী গোপাল শেঠির কাছে সাড়ে চার লক্ষ ভোটে পরাজিত হন৷ নির্বাচনে হারের পর দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগে সরব হন কংগ্রেস নেত্রী। তার স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে তাকে ভুলপথে চালনা করা হয়েছে। তার হয়ে প্রচারের দায়িত্বে থাকা সন্দেশ কোন্দিলকর ও তার সহযোগীরা তাকে ঠিকমতো সাহায্য করেননি। আর ঠিক এই কারণেই কংগ্রেস দলের প্রতি বিরক্ত হয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

এসজে