ম।ধু।চ।ন্দ্রি।মা
বিয়ের পরদিনেই সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং রাফিয়াত রশিদ মিথিলা উড়ে যান বরফে ঘেরা আল্পসের দেশে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। সেখানেই প্রণয়ে মজেছেন তারা। প্রকাশ্যে এলো তাদের মধুচন্দ্রিমার একগুচ্ছ নতুন ছবি। আনন্দবাজার পত্রিকার অবলম্বনে দেয়ে নেয়া যাক সৃজিত-মিথিলার মধুচন্দ্রিমার খানিক ঝলক। গ্রন্থনা : বিনোদন ডেস্ক
বড়দিনের আর বেশি দিন বাকি নেই। রাস্তাঘাট সেজে উঠেছে আলোয়। ঠাণ্ডাও তো সেখানে বারোমাস। কালো লং জ্যাকেটে জেনেভার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন মিথিলা। সঙ্গে বর সৃজিত।
সৃজিত ছবি তুলেছেন রাজহাঁসের সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ার করেছেন পরিচালক। ক্যাপশনের দিকে নজর পড়লে হাসি চেপে রাখতে পারবেন না আপনি। সৃজিত লিখেছেন, ‘হাঁস ট্যাগড’।
রাস্তায় সাজানো রয়েছে দাবার গুটি। পেছনে আবার ছোট ছোট তাঁবু। রাস্তা-ঘাট ভেজা। এক পশলা বৃষ্টি কী হয়ে গিয়েছে খানিক আগেই? একে অপরের দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দু’জনে। বুঁদ হয়ে রয়েছেন ভালবাসায়।
মধুচন্দ্রিমাই যে একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, সে কথা জানা গিয়েছিল আগে। মিথিলা পিএইচডি করবেন জেনেভার বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই কাজকর্ম গোছাতেই যাওয়া সেখানে। ঘোরাও হবে, কাজও হবে। একান্তে সময়ও কাটানো যাবে বেশ কয়েকদিন।
বিদেশ যাত্রার দিন ফ্লাইট থেকে বরফে ঢাকা আল্পসের ছবি শেয়ার করেছিলেন সৃজিত। দেখে মনে হবে শরতের মেঘ বুঝি। সে এক নৈসর্গিক দৃশ্য। সাধে কী আর সুইজারল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এত সুনাম।
স্ত্রীকে নাকি এই ছবিতে হ্যারি পটারের বন্ধু হারমাইনি গ্রেঞ্জারের মতো দেখতে লাগছে- দাবি সৃজিতের। শীতে জবুথবু। তবে ঘোরার বিরাম নেই। শহুরে ব্যস্ততায় আটকা পড়ে রয়েছে দু’জনেই। একটু সময় বার করেছেন কোনওভাবে। ফিরে এসেই তো আবার নেমে পড়তে হবে রোজকারের ছকবাঁধা রুটিনে।
সবাইকে চমকে দিয়েই বছরের শেষ মাসের প্রথমে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন তারা। ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই। টলিউডের গুটি কয়েক মানুষকে দেখা গিয়েছিল সে অনুষ্ঠানে। ছিলেন দুই পরিবারের বাড়ির লোকরাও।
এসএমএম