• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২, ২০২০, ১০:৫৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০২০, ১০:৫৩ এএম

সত্যজিত রায়ের জন্মদিন আজ

সত্যজিত রায়ের জন্মদিন আজ
কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিত রায়- সংগৃহিত

কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিত রায়ের জন্মদিন আজ। ১৯২১ সালের এই দিনে (২ মে) তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

চলচ্চিত্র জগতে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সত্যজিৎ। চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্রগ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করা- সবই করেছেন তিনি। কলকাতায় ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থা ডি জে কিমারে জুনিয়র ভিজ্যুয়ালাইজার হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং একের পর এক নির্মাণ করেন কালজয়ী সব চলচ্চিত্র।

বিভূতিভূষণের অনবদ্য সৃষ্টি ‘পথের পাঁচালী’ নিয়ে একই নামে তিনি তৈরি করেন তার জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র, যা ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। সত্যজিৎ রায় নির্মিত পথের পাঁচালী, অপরাজিত ও অপুর সংসার- এই তিনটি চলচ্চিত্রকে ‘অপু ত্রয়ী’ বলা হয়, যা তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে স্বীকৃত।

শুধু চলচ্চিত্র অঙ্গনেই নয়, সত্যজিতের স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণ ছিলো সাহিত্য জগতেও। গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা ও বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু তার অনবদ্য সৃষ্টি। 

সত্যজিৎ রায়ের বাবা সুকুমার রায় ছিলেন বাংলা কবিতা ও শিশুসাহিত্যের সেরা লেখকদের একজন। দক্ষ চিত্রকর ও সমালোচক হিসেবেও সুকুমার রায়ের খ্যাতি ছিল। সত্যজিতের বয়স যখন তিন বছর, তখন তাঁর বাবা সুকুমার রায়ের মৃত্যু হয়। এরপর মা সুপ্রভা দেবী বহু কষ্টে তাকে লালনপালন করেন।

সত্যজিৎ রায় তার কর্মের জন্য অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি, যার মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র দ্বিতীয় চলচ্চিত্রকার হিসেবে তাকে ডিগ্রি দেয়।

১৯৮৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাঁকে সম্মানসূচক পুরস্কার লেজিওঁ দনরে ভূষিত করে। ভারত সরকার দেয় সর্বোচ্চ অসামরিক পদক ভারতরত্ন। এছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে অস্কার লাভ, যা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে গণ্য হয়। অস্কার পাওয়ার কিছুদিন পরেই ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি মারা যান।

জেডএইচ