• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২০, ১২:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৫, ২০২০, ০২:১৭ পিএম

আজীবন সম্মাননা প্রসঙ্গে

বিষাদে ঘেরা আনন্দ

বিষাদে ঘেরা আনন্দ

চার দশকের বেশি সময় ধরে সিনে দুনিয়ায় বিচরণ মাসুদ পারভেজের। জনমানুষের কাছে যিনি ‘সোহেল রানা’ নামে খ্যাত। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি পৌনে তিন’শ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রযোজনা করেছেন ৩৫টি চলচ্চিত্র। আর পরিচালনা করেছেন অর্ধশত সিনেমা।

বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সোহেল রানা। রাষ্ট্রীয় এই সম্মানে আনন্দিত জনপ্রিয় এই অভিনেতা। তিনি বলেন, “চলচ্চিত্রের জন্য পুরো জীবনটাই তো উৎসর্গ করলাম। জীবনের শেষ সময়ে এসে এই সম্মাননা আমার জীবনকে সার্থক করেছে। আমার মনে হচ্ছে, আমি আসলে বোধহয় দেশের চলচ্চিত্রের জন্য কিছু করতে পেরেছি। এই অর্জন নিঃসন্দেহে আমার কাছে জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু।”

আজীবন সম্মাননা কি সত্যিই আনন্দের, নাকি কোথাও যেন একটু বিষাদের রঙ মাখা?— এমন প্রশ্নের উত্তরে সোনালি যুগের এই নায়ক বলেন, “আজীবন সম্মাননা এমন একটি অর্জন যা আনন্দ ও বিষাদ মিশ্রিত। কারণ, এটি জীবনের শেষটা মনে করিয়ে দেয়। যদিও আমি জানি, আমার জীবনের শেষ খুব সন্নিকটে। তিনবার আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবার আজীবন সম্মাননা পেলাম। মৃত্যুর আগে আর কোনো আক্ষেপ রইলো না।”

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা এগারো জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন সোহেল রানা। তখন তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচিত ছিলেন। এরপর ১৯৭৩ সালে তিনি সোহেল রানা নামধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেন সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানার গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন।

আরও পড়ুন