• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২১, ০১:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৯, ২০২১, ০২:১০ পিএম

সৃজিতের ছবিতে কাজ করতে চান তাহসান!

সৃজিতের ছবিতে কাজ করতে চান তাহসান!

আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে—হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানটির বাস্তব উদাহরণ যেন তাহসান-মিথিলা। তিন বছর হলো সংসারজীবনের ইতি টেনেছেন। তবু তারা একে অপরের খুব কাছে। বন্ধুত্বের সম্পর্কের নতুন সমীকরণে তারা আজ দূরে থেকেও কাছে। একমাত্র মেয়ে আয়রা তাদের ভেতরে সুপ্ত টান এখনো জিইয়ে রেখেছে। সেটারই প্রমাণ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গণমাধ্যমকে দেওয়া তাহসানের সাক্ষাৎকারে। 

সেখানে মিথিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার প্রশ্নে তাহসান বলেন, “এটা আসলে খুব কঠিন একটা প্রশ্ন। আমাদের প্রত্যেকেরই তো কিছু দোষ-গুণ আছে। আমাদের একটা সম্পর্ক ব্যর্থ হয়েছে মানে এই নয় যে বন্ধুত্ব থাকবে না। আমাদের মেয়েকে আমরা দুজনেই খুব ভালোবাসি। আমার মেয়ের মায়ের নামে তাই একটি শব্দও খারাপ বলব না। আমি মনে করি, আমরা দুজন আলাদা থেকেও আয়রাকে সুন্দরভাবে বড় হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারি। এ ছাড়া বিচ্ছেদের তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তখন আমার জীবনের কঠিন সময় ছিল। কিন্তু আমরা কেউই বাইরের মানুষের কথায় আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করিনি। তাই বোধ হয় আমাদের সম্পর্কটা এতটা সহজ।”

তাহসান জানান, মিথিলার সঙ্গে তার সব সময় যোগাযোগ হয়। একমাত্র মেয়ের জন্য হলেও এই যোগাযোগ নিয়মিত রাখতে চান। এতে করে মেয়ের মানসিক অবস্থা ভেঙে পড়বে না। 

মিথিলা এখন ওপার বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির ঘরনি। প্রেমের শহরে তারা এখন মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়াচ্ছেন। সমতলে দাঁড়িয়ে তাহসান ওদের ওড়াউড়ি দেখেন। তবু কোনো আক্ষেপ নেই তার। আর তাই তো তাহসানের প্রিয় পরিচালকের তালিকায় সৃজিত আছে ওপরের সারিতে। সুযোগ পেলে তার ছবিতে অভিনয় করতে চান তিনি।

তাহসান বলেন, “সৃজিতের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমার খুবই প্রিয় তিনি। কারণ আমার মেয়েরও খুব ভালো লাগে তাকে। এ ছাড়া তার কাজ ভালো লাগে। যদিও আগে থেকেই তার কাজ বেশ পছন্দ করতাম।” 

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিয়মিত কলকাতা যেতে চান তাহসান। সেখানে কাজও করতে চান। এতে করে মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হবে তার। কেননা, মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় বসবাস করছেন মিথিলা।