• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০১:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০১:৩৮ পিএম

শুরু হচ্ছে সিসিমপুর সিজন-১৩

শুরু হচ্ছে সিসিমপুর সিজন-১৩

নতুন বছরের শুরুতেই শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৩। ২২ জানুয়ারি, শুক্রবার থেকে নতুন সিজনের পর্বগুলো শিশুরা দেখতে পাবে তিন টেলিভিশনের পর্দায়।

নতুন সিজনের পর্বগুলোতে শিশুদের খেলার মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন এই সিজনে শিশু ও তার পরিবারকে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এবারের সিজনের পর্বগুলোতে সিসিমপুরের চরিত্র গ্রোভার ও রায়া খেলতে খেলতে শেখার নানা বিষয় নিয়ে হাজির হবে শিশুদের সামনে। আর সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র ইকরি তার বন্ধুদের বাংলা বর্ণমালা লিখতে শেখাবে। মজার এনিমেশন, স্যান্ডআর্ট ও গ্রাফিক্সের মাধ্যমে শিশুরা শিখবে বাংলা বর্ণ ও শব্দ। পাশাপাশি সিজন-১৩ তে শিকুর ‘বলতে পারো’ সেগমেন্টকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত পর্ব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, পরিবেশের যত্ন, সামাজিক ও আবেগি দক্ষতা বিষয়ক দারুণ মজার সব গল্প তো থাকছেই। থাকছে ৩ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য আরো অনেক নতুন বিষয়।

শুক্রবার থেকে বিটিভি, দুরন্ত টেলিভিশন ও মাছরাঙা টেলিভিশনে সিসিমপুরের সিজন-১৩ প্রচার শুরু হবে। প্রতি শুক্রবার দুরন্ত টিভিতে সকাল ৮টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে সকাল ৯টায় এবং বিটিভিতে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রচারিত হবে সিসিমপুরের নতুন পর্বগুলো।

ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিসিমপুর সিজন-১৩ উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।  আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিভি’র মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু, দুরন্ত টেলিভিশনের পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী, ইউএসএআইডি’র এডুকেশন টিম লিডার নিকোলাস ভিভিও, এশিয়াটিকের ভাইস চেয়ারম্যান সারা যাকের, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সিসিমপুরের বন্ধু খুশি, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম, রায়া ও গ্রোভার।

‘সিসিমপুর’ বিশ্বখ্যাত মার্কিন টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘সিসেমি স্ট্রিট’-এর বাংলাদেশি সংস্করণ। শিশুদের ভাষা, সাক্ষরতা, গণিত, সামাজিক, মানসিক ও মানবিক দক্ষতা বিকাশের জন্য ‘সিসেমি স্ট্রিট’ কাজ করছে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে।