• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২১, ০২:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২১, ০২:৪৭ পিএম

বাংলা একাডেমি পুরস্কার

‘লেখালেখির জন্য পুরস্কার পাব, আশা করিনি’

‘লেখালেখির জন্য পুরস্কার পাব, আশা করিনি’

বাংলা নাট্যাঙ্গনের কিংবদন্তি ফেরদৌসী মজুমদার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার। এবার পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মনে পড়ে’র জন্য তাঁর এই অর্জন। এমন অর্জনে আনন্দিত জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, “লেখালেখির জন্য পুরস্কার পাব, এটা আশা করিনি। আমি লেখালেখি করি মনের আনন্দে। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়াটা ভীষণ রকম আপ্লুত করেছে। একই সঙ্গে লেখালেখির চর্চায় মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এই পুরস্কার।”

তিনি জানান, এই পুরস্কার পাওয়ার মধ্য দিয়ে দায়বদ্ধতা আরো বেড়ে গেল। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে মানুষের জন্য কিছু করে যাবেন।

ফেরদৌসী মজুমদারের আত্মজীবনীমূলক ‘মনে পড়ে’ বইটিতে তুলে ধরা হয়েছিল বরেণ্য এই শিল্পীর জীবনের নানা দিক। শৈশব-কৈশোরের বেড়ে ওঠা এবং ব্যক্তিজীবনের নানা কথা।

মঞ্চে এখনো সপ্রতিভ এই কিংবদন্তি। দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন নিয়মিত। যদিও বয়স তাঁর কাছে কেবল সংখ্যামাত্র। অভিনয়ের প্রতি ভালো লাগা থেকে এখনো মঞ্চে ওঠেন। ফেরদৌসী মজুমদারের ভাষ্য, “আমি থিয়েটারটা ভালোবেসেছি। কোনোরকমে মঞ্চের ওপর দাঁড়াতে পারলেই কোথা থেকে যেন উদ্যম, শক্তি চলে আসে। আমি তখন আমার রোগ-শোক ভুলে যাই। তখন মাথার মধ্যে একটা বিষয়ই কাজ করে, যে অভিনয়টা যেন ঠিকমতো হয়। মানুষ যেন আমার কাছ থেকে নিরাশ না হয়, বঞ্চিত না হয়। টিকিট কেটে যে দর্শক আমার অভিনয় দেখতে এসেছেন, তার প্রতি দায়বদ্ধতা আছে আমার।”

তিনি মনে করেন, থিয়েটার ভালোবাসার জায়গা থেকেই করতে হয়। চাকরির মতো বেতনের আশায় থিয়েটার করলে শিল্প হবে না। সে জন্য তিনি এ প্রজন্মকে শুধু ভালো লাগার জায়গা থেকে মঞ্চে আসার আহ্বান জানান।

১৯৪৩ সালে বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্ম হয়েছিল ফেরদৌসীর। চৌদ্দ ভাই-বোনের সংসার ছিল তাদের। তিনি ছিলেন এগারো নম্বর। বেশ কড়া শাসন আর আধুনিকতার মিশ্রণে ছিল তাঁর পারিবারিক জীবন। শিক্ষাবিদ কবীর চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর বোন তিনি। অন্য ভাই-বোনেরাও সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আত্মজীবনীতে ফেরদৌসী তাঁর পারিবারিক জীবনের গল্প বেশ অকপটে বলেছেন। এরপর ফেরদৌসী মজুমদারের লেখা নিয়ে প্রকাশ হয় ‘যা ইচ্ছা তাই’। এই বইটিতেও বরেণ্য এই শিল্পী সম্পর্কে বিশদ জানা যায়।