• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৫:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৫:৫৪ পিএম

আতঙ্কে থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেন বুবলী

আতঙ্কে থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেন বুবলী

প্রাণনাশের শঙ্কায় আতঙ্কিত বুবলী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। শুক্রবার রাতে তিনি বাবা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা বুবলীর সাধারণ ডায়েরি নম্বর ১৯১৭।

সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে বুবলী জানালেন, দু—একদিন পরে জিডি করার পরিকল্পনা থাকলেও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে রাতে ঘটনাটি থানায় অবহিত করেছেন। বুবলী বলেন, “আতঙ্কের মধ্য দিয়ে সময় কাটছে আমার। যেকোনো সময় খারাপ কিছু হতে পারে। তাই দেরি না করে থানায় জিডি করেছি। কয়েকদিন ধরে আমার সঙ্গে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো থানায় জানিয়েছি।”

সাধারণ ডায়েরিতে বুবলী উল্লেখ করেছেন, “আমি একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রের কাজের কারণে প্রায় সময় আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া–আসা করতে হয়। শুটিংয়ের কারণে বাসায় ফিরতে অনেক সময় রাত হয়ে যায়। এমতাবস্থায় প্রায় গত বেশ কয়েক দিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নম্বরবিহীন প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করে আমাকে ফলো করছে। অদ্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে শুটিং শেষ করে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের বাড়িতে ফেরার পথে আনুমানিক ৩টার সময় উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টরের জসীম উদ্‌দীন রোডে পৌঁছামাত্র উল্টো দিক থেকে নম্বর প্লেটবিহীন একটি প্রাইভেট কার এসে আমার গাড়ির সামনে হার্ড ব্রেক করে। আমি আশঙ্কা করছি, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা যেকোনো সময় আমার ক্ষতি করতে পারে। উপরোক্ত বিষয়টি আপনার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যেন মর্জি হয়।”

এর আগে বুবলী হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ফেসবুকে লেখেন, গত চার-পাঁচদিন আমি চোখ নামে একটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, যথারীতি শুটিং শেষে রাতে বাসায় ফেরার পথে বিপরীত রাস্তা থেকে কোনো হর্ন না বাজিয়ে, কোনো সিগন্যাল না দিয়ে আমার গাড়ির সামনে প্রচণ্ড বেগে তেড়ে এসেছে একটি প্রাইভেট কার, যার গ্লাস ছিল ব্ল্যাক পেপার দিয়ে মোড়ানো এবং কোনো নাম্বার প্লেট ছিল না। আমার ড্রাইভার হার্ড ব্রেক না করলে হয়তো অন্য কিছু হতে পারত। আর আমি নিজেও ড্রাইভিং জানি, তাই কোনটি দুর্ঘটনা আর কোনটি ইচ্ছাকৃত, তা বোঝার ক্ষমতা নিশ্চয়ই একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতো আমারও আছে। প্রথম দিন সব বুঝতে পেরেও মনকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম, হয়তো বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি এত জোরে আসার কারণে কন্ট্রোল রাখতে পারেনি; কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তো সেটি আর বুঝতে বাকি থাকে না যে এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবেই করানো হচ্ছে।