• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২১, ০১:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২১, ০১:৩৭ পিএম

সিসিমপুরের ১৬ বছর পূর্তি

সিসিমপুরের ১৬ বছর পূর্তি

শিশুদের শেখানোর পদ্ধতিকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে ‘সিসিমপুর’-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। উদ্যোগটি ১৬ পেরিয়ে ১৭ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে। সিসিমপুরের প্রথম প্রচারের দিন হিসেবে প্রতিবছর ১৫ এপ্রিলকে ‘সিসিমপুর দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়। 

‘সিসিমপুর’ টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে শিশুকে বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। এই অনুষ্ঠানের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্ন আকার-আকৃতির নাম, রঙের নাম ইত্যাদি শেখানো হয়। বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের বিষয়টিকে সিসিমপুর সব সময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। 

আর তাই সিসিমপুরের পাপেট, মানবচরিত্র, এমনকি অ্যানিমেশন সব ধরনের টেলিভিশন পর্বে চরিত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের শুদ্ধ উচ্চারণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যাতে শিশুরা এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমিত বাংলা শোনার ও চর্চা করার সুযোগ পায়।

আবার একইসঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা, ঐতিহ্য আর জীবনযাপনকেও তুলে ধরা হয়। যাতে করে শিশুরা সমানভাবে আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হয়।

বর্তমানে সিসিমপুরের ১৩তম সিজনের প্রচার হচ্ছে। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান দুরন্ত, মাছরাঙা এবং বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। তবে শুরু থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিগত ১৬ বছর বিরতিহীনভাবে সিসিমপুর প্রচারিত হয়েছে।

সিসিমপুরের ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘১৬ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। এছাড়া সিসিমপুরের লক্ষ্য শিশুর মা-বাবা এবং শিক্ষকরাও। আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে।’

শাহ আলম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ইত্যাদি নানা বিষয় শিশুদের শিখতে সাহায্য করেছে সিসিমপুর। তবে সামনের দিনগুলোতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মমত্ববোধ ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাসহ দেশের সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।’