প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সালমান খানের ‘রাধে’ সিনেমাটি। ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভে মুক্তির পর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে সিনেমাটি দেখতে। এ যাবৎকালে এক দিনে সর্বোচ্চ ভিউয়ের রেকর্ড করে এটি। তবে সিনেমাটি দেখে হতাশ দর্শক।

স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কমল রশিদ খান ‘রাধে’র রিভিউ দিতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ঝরঝরিয়ে কাঁদলেন। তবে শুধু কমল রশিদ খান নয়, সালমানের এই ছবি দেখে হতাশ অধিকাংশ সমালোচকই।

কমল রশিদ দুবাইয়ের থিয়েটারে ‘রাধে’র প্রথমার্ধ দেখে একটি ইউটিউব ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমার মাথা ঘুরছে। আমার কান্না পাচ্ছে। আমি কী দেখলাম কিছুই বুঝতে পারছি না। মধ্যান্তরের পর হলের ভেতরে ঢোকবার মতো হিম্মত আমার হচ্ছে না। আমাকে ওষুধ খেতে হবে।”

তার এই রিভিউ রীতিমতো ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই রাধে নিয়ে এই স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচকদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।

সমালোচকদের পাশাপাশি দর্শকদের মন জয়েও এই ছবি ব্যর্থ তা বেশ স্পষ্ট। সালমান ভক্তদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে ছবির আইএমডিবি রেটিং কমে এসে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫-এ। প্রায় ১৩ হাজার দর্শক এই রেটিং দিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের রিভিউতে এই ছবির সম্পর্কে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, এটা সালমানের ক্যারিয়ারের ‘সবচেয়ে খারাপ’ ছবি। ছবির চিত্রনাট্যের কোনো মাথামুন্ডু নেই। সিজিআই দৃশ্য খুব নিম্নমানের এবং একই রকমের পুরোনো গতবাঁধা ওয়ান লাইনারে ভরপুর এই ছবি। ‘রাধে’ যে একমাত্র সালমান খানের স্টার পাওয়ারের ওপরই নির্ভর করে তৈরি তা স্পষ্ট। শুধু সালমান খান ভক্তদেরই এই ছবি দেখা উচিত, অন্যেরা এই ছবি দেখলে বেজায় হতাশ হবেন।

তবে সমালোচক ও দর্শকরা যা-ই বলুন না কেন, রাধে কিন্তু ইতিমধ্যেই নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। প্রথম দিনের ভিউ সংখ্যার নিরিখে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের পুরোনো সব রেকর্ড ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন ভাইজান। সালমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিডিয়া পোস্টে জানান, প্রথম দিন ওটিটিতে প্রায় ৪২ লাখ বার দেখা হয়েছে এই ছবি। ঈদের দিন এই রিটার্ন গিফটের জন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি।