• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২১, ১২:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৪, ২০২১, ১২:৪০ পিএম

ওইদিন রাতে যা হয়েছিল পরীমণির সঙ্গে

ওইদিন রাতে যা হয়েছিল পরীমণির সঙ্গে

জীবনের ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছেন পরীমণি। রোববার (১৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানালেন, তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের সাহায্য চেয়ে তিনি পাননি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য প্রার্থনা করেন। যদিও ফেসবুক পোস্টে ভয়ে নির্যাতনকারী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি ঢাকাই ছবির এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। 

এরপর মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় তার পোস্ট। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই রাতেই অঘোষিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পরীমণি। সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে পুরো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পরীমণি বলেন, “গত বুধবার (৯ জুন) রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও পরীর পোশাক ডিজাইনার জিমির সঙ্গে বাইরে বের হয়েছিলেন। রাত ১২টার দিকে অমি তাদের নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে যাই। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরীর পরিচয় করে দেন অমি। পরে অমি সেখানে থাকা নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। সে সময় তিনি নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তারপর নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন।”

পরীমণি বলেন, “অমি একজন ব্যবসায়ী এবং তার কস্টিউম ডিজাইনার জেমির স্কুল বন্ধু। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমি বলতে চাই, কিন্তু বলতে পারছি না। আমার বলতে ইচ্ছা করছে অনেক। আমি চার দিন ধরে পাগল হয়ে গেছি। আমার জায়গায় থাকলে আপনারা কথা বলতে পারতেন না।”

ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন পরীমণি। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমণি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এ অভিনেত্রী। এ সময় একাধিকবার কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে তাকে। কথা বলতে গিয়ে বারবার থেমে যাচ্ছিলেন পরীমণি।

সবশেষ পরীমণি বলেন, “আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। আমি যদি মরে যাই, বুঝবেন মেরে ফেলা হয়েছে। আমি সুইসাইড করতে পারি না, সুইসাইড করব না। আমি আমার বিচার নিয়ে মরব। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি অন্যায়ের বিচার চাই।”

কে এই ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ?

অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর নাম  নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। এ অভিনেত্রীর অভিযোগ, চার দিন আগে উত্তরায় বোট ক্লাবে নাসির উদ্দিন মাহমুদ তার ওপর চড়াও হয়েছিলেন। ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি একজন আবাসন ব্যবসায়ী। নাসির উদ্দিন মাহমুদ কুঞ্জ ডেভলপারস লিমিটেডের চেয়ারম্যান। উত্তরা ক্লাবেরও সাবেক সভাপতি তিনি।