• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২১, ১২:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৫, ২০২১, ১২:৩৯ পিএম

কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানার জন্মদিন

কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানার জন্মদিন

শাবানা—বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এক অভিনেত্রীর নাম। তার অভিনীত প্রতিটি চলচ্চিত্র যেন এক একটি মাইলফলক। এ প্রজন্মের দর্শকের কাছেও শাবানা সমানভাবে সামদৃত। 

আজ ১৫ জুন এই কালজয়ী এই অভিনেত্রী জন্মদিন। ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শাবানা। ঢাকার গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হলেও মাত্র ৯ বছর বয়সে তার শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শাবানা দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে—প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্কার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার ও কথক একাডেমি পুরস্কার।

তিন দশকের ক্যারিয়ারে নাদিম, রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, জসিম, সোহেল রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে শাবানা উপহার দেন জনপ্রিয় অনেক ছবি। তার উল্লেখ্যযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে—‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘বিরোধ’, ‘আনাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘জীবনসাথী’, ‘মাটির ঘর’, ‘লুটেরা’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কেউ কারো নয়’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘স্বামী কেন আসামি’, ‘দুঃসাহস’, ‘পুত্রবধূ’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চাঁপা ডাঙার বউ’।

জনপ্রিয় থাকা অবস্থায় ১৯৯৭ সালে শাবানা অজানা কারণে হঠাৎই বিদায় নেন চলচ্চিত্র থেকে। ২০০০ সাল থেকে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস করছেন শাবানা।

১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শাবানা। ওই সময় পর্দায় নাম ছিল রত্মা। এরপর ‘তালাশ’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় নৃত্যশিল্পী ও অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। সহনায়িকা চরিত্রে দেখা যায় ‘আবার বনবাসে রূপবান’ ও ‘ডাক বাবু’তে।

বাংলাদেশের সিনেমায় যখন অভিনয় নিয়ে খুব ব্যস্ত, ঠিক তখনই কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান শাবানা। হঠাৎ করে তার এই দেশান্তরি হওয়ায় বিস্মিত হন ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী চলচ্চিত্র—সংশ্লিষ্ট সবাই। সবার প্রিয় শাবানা এখন থাকছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। স্বামী ও সন্তানেরাসহ সেখানেই তার স্থায়ী আবাস। দেশের বাইরে থাকলেও মনে পড়ে দেশের কথা। নির্দিষ্ট সময় পর দুই সপ্তাহ কিংবা এক-দুই মাসের জন্য ছুটে আসেন বাংলাদেশে। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে, নিজের মতো করে কাটিয়ে আবার ফিরে যান প্রবাসের সংসারে। সেখানেও যে রয়েছে ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অনেক আত্মীয়স্বজন।