বর্ণিল জীবনে ৬২-তে পা দিলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত।

পেশাগত জীবনে কখনো উঠেছেন তরতরিয়ে, কখনো খেয়েছেন হোঁচট। নেশার ভুবনে ডুবে ছিলেন জীবনের লম্বা সময়। আবার ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিষ্ফোরণ কাণ্ডে গেছেন জেলে। রুপালী পর্দার জীবনের চেয়েও যেন বেশি বর্ণময় মুন্নাভাইয়ের জীবন।

২০১৬ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার কারাবাসের কথা সন্তানদের জানাতে পারেননি তিনি। সঞ্জয় বলেছিলেন, তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য পাহাড়ে শ্যুটিংয়ের জন্য বাড়ির বাইরে ছিলেন।

সঞ্জয় বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি যখন জেলে গিয়েছিলাম, তখন আমার ছেলে এবং মেয়ের বয়স মাত্র ২ বছর ছিল। তাই ওদের সেই সময়টা ভাল করে মনে নেই। আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম ওদের জেলে না আনতে। আমি চাইনি ওরা আমাকে কয়েদির পোশাকে দেখুক।’

সন্তানরা বড় হওয়ার পর জানতে চেয়েছিল দীর্ঘ সময় তিনি কেন অনুপস্থিত ছিলেন।

সঞ্জয় বলেছিলেন, ‘আমি ওদের বলেছিলাম আমি পাহাড়ে শ্যুট করছিলাম। ওখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।’ সঞ্জয় বলেছিলেন, জেল থেকে মাসে দু’বার বাড়িতে ফোন করার সুযোগ পেতেন তিনি। তখনই কথা হতো সন্তানদের সঙ্গে।

ছেলেমেয়ে বড় হলে তাদের সত্যটা জানিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সঞ্জয়। আপাতত কাজ নিয়ে ব্যস্ত অভিনেতা।

‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার ২’ ছবিতে দেখা যাবে অভিনেতাকে। সঞ্জয়ের জন্মদিনেই মুক্তি পেয়েছে অভিনেতার নতুন অবতারের ছবি।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ