• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ১২:০৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৬:০৭ এএম

একমাত্র আফগান পর্নো তারকার কোনও অনুশোচনা নেই

একমাত্র আফগান পর্নো তারকার কোনও অনুশোচনা নেই
সংগৃহীত ছবি

ইয়াসমিনা আলী— যার পরিচিতি পর্নো দুনিয়ায় একমাত্র আফগান নারী হিসাবে। সেই ইয়াসমিনা সম্প্রতি খোলামেলাভাবে বর্ণনা করেছেন, তালেবান শাসনের সময় তার জীবন-যাপনের কথা।

৯০ দশকের সময় তালেবান যখন প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেয়, তখন ইয়াসমিনা আলী ছিলেন একজন অল্পবয়সী এবং নিঃস্ব শিশু।

তিনি দেখেছেন, কিভাবে কাবুলের রাস্তায় দুর্ভোগের জন্ম দিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। চোখের সামনে দেখেছেন নারী ও পুরুষের বিরুদ্ধে তালেবানের জঘন্য সব অপরাধের দৃশ্যপট।

ইয়াসমিন শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে তিনি পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে চলে যান।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইয়াসমিনা একজন শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী নারী হয়ে উঠেন এবং তিনি তার নিজের শর্তে জীবনকে এগিয়ে নিতে শুরু করেন।

ইয়াসমিনা আলী পর্নোগ্রাফির জগতে প্রবেশ করেন এবং দ্রুত সেই জগতে শীর্ষ পারফর্মার হয়ে ওঠেন। তিনি নিজেকে নারীবাদী কর্মী এবং একমাত্র আফগান পর্নোস্টার বলে মনে করেন।

তার মতে, তালেবানরা তার সম্পর্কে সব কিছু জানে এবং তার ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে থাকে। ইয়াসমিনা এটাও মনে করেন, তালেবানরা নানা কারণেই তাকে ঘৃণা করে।

স্পেক্টেটর ওয়ার্ল্ড নামের একটি সাময়িকীতে একটি নিবন্ধে লিখেছেন ইয়াসমিনা আলী। তিনি লেখেন, মানুষকে দমিয়ে রাখার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মতাদর্শের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেন।

 

তিনি আরও লেখেন, আমি যেভাবে এটি (পর্নোগ্রাফি) দেখি, আমি এখানে মুক্ত শ্বাস নিতে পারি এবং আমার আমার জীবনকে পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারি।

ইয়াসমিনা জানান, তার জীবনযাপন নিয়ে অন্যরা কি মনে করলো, তা তিনি পাত্তা দেন না। কেউ যদি তাকে ঈর্ষা করে, তাহলে তারা মনে করে তাদের চাইতে সে বেশি আনন্দে আছে।

ইয়াসমিনা দাবি করেন, কিছু লোক তার জীবন-যাপনের একমত নাও হতে পারে, তবে তিনি তার পেশাকে উপভোগ করেন। নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে আসা নিয়েও তার কোনও অনুশোচনা নেই।

তিনি আরও বলেছিলেন, পর্নোগ্রাফিক জগতে প্রবেশ করা একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, তবে তিনি খুশি যে তিনি এটি করতে পেরেছেন এবং নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ/কেপি