নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় যথাযথভাবে কার্যকর এবং স্বতন্ত্র নদী আইন ও নদী আদালত গঠনের দাবিতে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্দ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টায় টঙ্গী ব্রিজে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তুরাগ নদী দখল, দূষণ, ভরাট, ভাঙন রোধ করে খনন, পুনঃখনন ও সংস্কার করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নদী রক্ষার জন্য বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন অন্যান্য নদী ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন যাবত যে আন্দোলন করে আসছে তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা। বক্তারা বলেন, নদী দখলকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে দেশের নদ-নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী আমাদের অস্তিত্ব, তাকে যেকোন মূল্যে রক্ষা করতে হবে। স্বতন্ত্র নদী আইন ও নদী আদালত গঠন এখন সময়ের দাবি। নদী বাঁচাতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর আন্তরিক হলে এই নদী দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ আন্দোলনকারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, নদীর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে দেশে দেশে নদ-নদীর উপর নির্মিত বাঁধের বিরূপ প্রভাবের শিকার-২০টি দেশের প্রতিনিধিরা ১৯৯৭ সালের মার্চে ব্রাজিলের কুরিতিবা শহরে মিলিত হন। ঐ সম্মেলনে সারা পৃথিবীর নদ-নদীগুলোর বাঁধ, ড্যাম ও ব্যারেজের অপসারণ করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নদীগুলো রক্ষার জন্য ১৪ মার্চকে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম-সম্পাদক মো. কালিমুল্লাহ ইকবালের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি ও গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাখি সরকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সহ-সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বারী চৌধুরী, মানবাধিকার নেত্রী বীনা আক্তার, মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টার, নদী বাঁচাও আন্দোলন প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী মো. সানাউল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, টঙ্গীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান শোভন, উদীচি শিল্পীগোষ্ঠী টঙ্গী শাখা সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক উজ্জল লস্কর প্রমুখ।
কেএসটি