• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৯, ১১:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৩, ২০১৯, ১১:২৪ এএম

বিলীনের পথে নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে চলা  ৬ নদী

বিলীনের পথে নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে চলা  ৬ নদী
শুকিয়ে গেছে নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে চলা  ৬ নদী

জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব আর ফারাক্কার মরুকরণে নওগাঁর ৬টি নদী শুকিয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে পানি শুন্য হয়ে পড়ায় বোরো সেচ নিয়ে শঙ্কিত নদী তীরের হাজার হাজার কৃষক। অন্যদিকে দখল আর দুষণ চলছে প্রতিযোগিতা করে। দিন দিন নওগাঁর বুক থেকে এই ৬টি ঐতিহ্যবাহী নদী হারিয়ে যেতে বসেছে। 

জলশুন্য হয়ে পড়ায় বেকার হয়ে পড়েছে নদী নির্ভর শত শত মৎস্যজীবীরা। এলাকাবাসী বলছে সংরক্ষণ ও পুন:খনন করা না হলে এ অঞ্চলের নদীগুলো হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে। নওগাঁয় রয়েছে ছোট বড় ৬টি নদী। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে আত্রাই, ছোট যমুনা, তুলসী গঙ্গা, নাগর, শিব, রানীনদী (ফকিন্নী) ও পুনর্ভবা নামক এসব নদী শুকিয়ে পানি শুন্য হয়ে গেছে। এক সময় এসব নদী ছিল হাজার হাজার মানুষের জীবীকার উৎস । নদীর পানি ব্যবহার করে দু’ পাড়ের মানুষ ভরে তুলতেন তাদের ফসলের ক্ষেত। 

এখন বছরে মাত্র তিন থেকে চার মাস পানি থাকে এসব নদীতে এরপর ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়। পানি শুন্য মরা নদীতে চলছে দখল ও দুষণের প্রতিযোগিতা। স্থানীয়রা বলছেন, আগে এসব নদী অনেক উত্তাল ছিল। এখন সব স্মৃতি। নওগাঁর মৃত প্রায় ৬টি নদীকে দখল ও দুষণের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে সম্প্রতি জেলা মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো তাদের নিয়মিত কর্মসুচি পালন করে আসছে।  

জেলা মানবাধিকার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্ন কুমার দেব বলেন, আমাদের ছোট যমুনা নদীকে রক্ষা করতে সকলের উদ্যোগ নেয়া দরকার। এদিকে অবৈধ দখল রোধ আর এসব মরা নদী রক্ষায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পৌর প্রশাসনের ব্যর্থ চেষ্টা নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না। 

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংসু কুমার সরকার বলেন, নওগাঁর ৬টি নদী খনন কাজের প্রস্তাবনা প্ল্যানিং কমিশনে দেওয়া আছে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করার জন্য এ প্রকল্প ধরা হয়েছে। এদিকে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী কালিতলা সুপারি পট্টিসহ বেশ কিছু নদীর পার সংলগ্ন অবৈধ দখল চলছে। এসব নিয়ে একাধিক মামলা করেও এ দখল থামানো যাচ্ছে না বলে জানালেন নওগাঁ পৌর মো. নজমুল হক সনি। শুকিয়ে যাওয়া নদীর দু’তীর দখল রোধে জেলা প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। 

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, নদী দখল দূষণ রোধ করতে প্রশাসন সচেষ্ট আছে। পরিবেশের বিরুপ প্রভাব মুক্ত রাখতে জেলার নদীগুলোকে সচল করা গেলে শস্য সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে এ অঞ্চল এ অভিমত সব মহলের।

বিএস