• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০১৯, ০৮:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৯, ২০১৯, ০২:৫৭ পিএম

কাজলরেখা নদী দখল করে বালু ভরাট করছে ভূমিদস্যুরা

কাজলরেখা নদী দখল করে বালু ভরাট করছে ভূমিদস্যুরা

মুন্সীগঞ্জের কাজলরেখা নদী দখল করে বালু ভরাট করছে ভূমিদস্যুরা। সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী আলদীবাজার-মাকহাটী সংযোগ সড়কের কালভার্ট সংলগ্ন কাজলরেখা নদীর বিশাল এলাকা দখলের পর ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা হচ্ছে। পূর্ব মাকহাটী গ্রামের ভূমিদস্যু আহসান মাঝি, চুন্নু মিয়া গং এ অবৈধ ভরাট কাজ চালাচ্ছে। কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ভরাট কাজ চালাতে নিষেধ করলেও তা অমান্য করেই প্রকাশ্যে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করছে। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আনলোড ড্রেজার দিয়ে বালুভর্তি বাল্কহেড থেকে পাইপের মাধ্যমে কাজলরেখা নদীর দৈর্ঘ্যে ৫০ ফুট ও প্রস্থে ১৫ ফুট এলাকা ভরাট করে যাচ্ছে শ্রমিকরা। আর সংযোগ সড়কের ধারে বসে রয়েছে ভূমিদস্যু আহসান মাঝি গংয়ের সন্ত্রাসী বাহিনী। প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হওয়ার ভয়ে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণির সাধারণ মানুষ অবৈধ ভরাট কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করলেও নিশ্চুপ রয়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, কিছু ব্যক্তি সংশ্নিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই কাজলরেখা নদী তীর দখলে নিয়ে ভরাট করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসেও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কাজলরেখা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আহসান মাঝি গং পাশের কৃষি জমি ভরাট করেছে। সেই ঘটনার দুই বছরের মাথায় এবার ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে আহসান মাঝি গং কালজরেখা নদীর বিস্তীর্ণ অংশ ভরাট করছে।

সরকারি খুঁটি অতিক্রমের পর দখল করে ১৫ ফুট জায়গা কালজরেখা নদীর কি-না জানতে চাইলে আহসান মাঝি বলেন, নদী তীরে চুন্নু মিয়া গংয়ের ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি তিনি শুধু ভরাট কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে সরকারি খুঁটি অতিক্রম করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন আহসান মাঝি।

কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার আব্দুল হান্নান মিয়া বলেন, কাজলরেখা নদী তীর দখল ও ভরাট করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করার বিষয়টি জানি না। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভরাট কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে কাজলরেখা নদীর তীর দখলের বিষয়টি জানানো হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএসটি