নদী তীর দখল ও দূষণরোধে প্রতিমাসে একদিন নদী পরিষ্কার অভিযান চালানো হবে। এক্ষেত্রে নদী সংশ্লিষ্ট, বিশেষ করে পরিবেশবিদ, নদী রক্ষা আন্দোলনকারীদের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগে নদীকে আমরা সুরক্ষা করতে পারবো। 

বুধবার (২২ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার চারপাশে নদী দখল ও দূষণরোধ কার্যক্রম চলমান রাখা সংক্রান্ত সভায় এ সব কথা বলেন নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ।

সভায় অন্যানের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আবু নাসের খান, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের মনির মুন্সী, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিহির বিশ্বাস, নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আবু নাসের, বিজিএমইএ-এর আশরাফ ওয়ারেশ, নদী যাত্রিকের সভাপতি ফারুক আহমেদ, বিজিএমইএ-এর পল্লব ভট্টাচার্য, নোঙর-এর সভাপতি সুমন শামস, নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মনির হোসেন, প্রবাহমান নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব জসীম কাতাবী, পানি সম্পদ এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন সবচিব বলেন, শিল্পবর্জ্য দূষণরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে। নদীকে দূষণ করে কোনও কিছু করা যাবে না। নদীতে শিল্পবর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্যসহ অন্য যে কোনও ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, সরকার নদী দখল ও দূষণরোধে কাজ করে যাচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের আওতাধীন এলাকায় ৪ হাজার ১৩ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ১১৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

টিএইচ/এসএমএম