• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় ভূমিকম্পের আঘাত

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় ভূমিকম্পের আঘাত

এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাপুয়ায় আঘাত হেনেছে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, সোমবার (২৪ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রদেশটির আবেপুরা শহর থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার গভীরে।

পাশাপাশি পূর্ব তিমুর ও ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন। ইউএসজিএস জানিয়েছে সোমবারের এ ভূমিকম্পটির উৎপত্তি সাগরতলের ২২০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের পর হাওয়াইভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র কোনো সুনামি সতর্কর্তা জারি করেনি; এ ভূমিকম্পে কোনো সুনামির সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রটি।

ভূমিকম্পের সময় পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে বলে রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এখানে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ইন্দোনেশিয়াও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর হয়নি বলে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থার কর্মকর্তা রিটা রোজিটা জানিয়েছেন।

এ দিকে পাপুয়া কর্তৃপক্ষের দাবি, এবারের ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে একই এলাকায় ভূপৃষ্ঠের স্বল্প গভীরে আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। যদিও শক্তিশালী সেই কম্পনের ফলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া যায়নি। অপর দিকে গত বছর দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের পালুতে আঘাত হেনেছিল ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প। পরবর্তীতে যার ফলে সৃষ্ট সুনামির তাণ্ডবে প্রায় ২২০০ লোকের মৃত্যু হয়।

এর আগে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর দ্বীপরাষ্ট্রটির আচেহ প্রদেশে ৯ দশমিক ১ মাত্রার তীব্র শক্তিশালী ভূমিকম্পে ফলে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হয়। যাতে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়। ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটাই সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা।

সূত্র : রয়টার্স

এসজেড