• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০১৯, ০৬:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৫, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম

আদালতের আদেশ অমান্য

দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নদীখেকোরা

দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নদীখেকোরা

 

সরকারি প্রতিষ্ঠানের দখলের কারণে আদি বুড়িগঙ্গা নদী দখলে মেতে উঠেছে নদীখেকো ভূমিদস্যুরা। আদালতের আদেশ অমান্য করে এখনও দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নদীখোকোরা বলে অভিযোগ পরিবেশবাদীদের।

আদি বুড়িগঙ্গা নদী পুণরুদ্ধারের দাবিতে ‘নদী রক্ষা জোটের সদস্য ১৩টি নদী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে আদি বুড়িগঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পরিবেশবাদিরা এ অভিযোগ করেন। তারা দাবি করেন, আমরা চাই সেনা বাহিনীর সহযোগিতায় এ নদী দখলমুক্ত করে নদীটিকে ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথের সাথে যুক্ত করে আদি বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করা হোক।

শুক্রবার ‘নদী রক্ষা জোটের’ আহ্বায়ক ও নোঙর সভাপতি সুমন শামসের উদ্যোগে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বুড়িগঙ্গা বাচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ  আন্দোলনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি আমির হোসেন মাসুদ, রিভারাইন পিপলের পরিচালক মোহাম্মদ এজাজ, তুরাগ নদী সুরক্ষা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সচেতন নগরবাসীর আহ্বায়ক রুস্তম খান, সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস প্রমুখ।

মিহির বিশ্বাস বলেন, কামরাঙ্গীরচর ২ নম্বর পূর্ব রসুলপুর পাকা ব্রিজ ঘেঁষে বালুমাটি দিয়ে নদী ভরাট করে দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। আমির হাসান মাসুদ বলেন, নদীগুলোর দখল-দূষণের কারণে ফসল এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সে কারণে খাদ্যের সঙ্গে মিশ্রিত বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত খাবার খেয়ে আমরা মৃত্যুর মুখে ধাবিত হচ্ছি। মোহাম্মদ এজাজ বলেন, নদী রক্ষা জোট থেকে আমরা দখল-দূষণে আক্রান্ত সকল নদী পুণরুদ্ধারের জন্য একতা বদ্ধ হয়েছি। রুস্তম খান বলেন, হাজারীবাগের সেকশন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন শাখা নদীর দু’পাশে সেমিপাকা ঘর, দোকান, গ্যারেজ গড়ে তোলা হয়েছে। এসব দোকান থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দৈনিক এবং মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া আদায় করছেন। মোহাম্মদ আলী বলেন, সরকার ভালো উদ্দেশ্যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেও অবৈধ দখলদাররা বেড়িবাঁধকে কেন্দ্র করে দখলযজ্ঞ শুরু করেছে। তাই নদী সুরক্ষার জন্য্র প্রয়োজনে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।

টিএস/এসজেড