• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ০৬:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০১৯, ০৬:৩৬ পিএম

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই

রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় আগামী ১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সারাবিশ্বে পালিত হবে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৯। পরিবার পরিকল্পনা ও জনগণের ক্ষমতায়ন উন্নয়নের আহ্বানের মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। ওই দিন দিবসটি উদযাপনের পাশাপাশি কিশোরী স্বাস্থ্য ও বাল্য বিবাহ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্বায়নে জনসংখ্যা-চ্যালেঞ্জ ও পরিকল্পিত পরিবারের সুবিধাসমূহের ব্যাপারে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য। সরকার, নীতি নির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি সংস্থা ও এ ব্যাপারে কর্মরত ব্যক্তিদের মনোযোগ ও কর্মপন্থা নিয়ে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হবে। দিবসটিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ কর্মসূচি সম্প্রচার এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। 

মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সাফল্যজনকভাবে মাতৃ মৃত্যু হার হ্রাস করায় ২০১০ সালে এমডিজি (মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জন করে। সমতা ও মানবাধিকার এই মূলনীতির আলোকে তৈরি একটি নতুন টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি সরকার এই লক্ষ্য অর্জনে কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ যত্ন নেয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে। 

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, প্রতি মিনিটে বিশ্বে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। আর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে ৯টি শিশু। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে যে, বর্তমানে জন্ম নেওয়া ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৯৭ জন জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় বিশ্বের তথা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। যে দেশগুলো এমনিতেই অধিক জনসংখ্যার দেশ। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, জনসংখ্যাকে সম্পদ বলা হলেও অতিরিক্ত জনসংখ্যা রাষ্ট্রের সম্পদ নয়, বরং বোঝা। অপুষ্টি, অশিক্ষা, বেকারত্ব, চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ইত্যাদি সমস্যার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। তাই জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরি মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল বিশ্বব্যাপী ‘১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়ে আসছে।

 

এমএএম/একেএস

আরও পড়ুন