• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০১৯, ০৩:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০১৯, ০৩:৪৮ পিএম

আমাজন ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে শাহবাগে নাগরিক সমাবেশ

আমাজন ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে শাহবাগে নাগরিক সমাবেশ
আমাজন রক্ষার দাবিতে বাপার নাগরিক সমাবেশ- ছবি: জাগরণ

অবিলম্বে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আমাজনের অগ্নিকাণ্ড বন্ধসহ আট দফা দাবিতে নাগরিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ ১৬টি পরিবেশবাদী সংগঠন।  

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘আমাজন থেকে সুন্দরবন, পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার হোন’- শীর্ষক এ নাগরিক সমাবেশ আয়োজন করা হয়। 

সমাবেশ থেকে বিশ্বের জলবায়ু রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- কমিউনিস্ট পার্টি অফ বাংলাদেশের (সিপিবি) সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম  আবু সাঈদ, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, সদস্য অধ্যাপক ড. আহমদ  কামরুজ্জামান মজুমদার, অধ্যাপক আনিরুল আলম, পুরান ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজিম উদ্দিন,  গ্রিন ভয়েসের সংগঠক হীরক সরদার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাজন কী প্রাকৃতিক কারনে পুড়ছে নাকি মানবসৃষ্ট কারণে পুড়ছে খতিয়ে দেখতে হবে। পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজন আমাদের মোট অক্সিজেনের ২৫ ভাগ সরবরাহ করে।  অথচ সেই আমাজনকেই ধ্বংস করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক কারণে আমাজনে আগুন লাগানো হয়েছে।  আজ বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর লোলুপ দৃষ্টি আমাজনের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর পড়েছে। যার কারণে নিজেদের স্বার্থের কারণে তারা আজ আমাজনকে ধ্বংস করছে। একইভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে আমাজনের মতো সুন্দরবনও ধ্বংস হয়ে যাবে।
 
এর বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। মানুষসহ বিশ্বের সকল প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমাজন, সুন্দরবনসহ বিশ্বের অন্যান্য বনভূমি, জলাশয় ইত্যাদি রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিদুল হক খান  বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের পরিবেশ আজ হুমকির সম্মুখীন।  পরিবেশ রক্ষায় এখনই সোচ্চার না হলে খুব শিগগিরই জলবায়ু ধ্বংসের মুখে পড়বে। বর্তমানে জলবায়ুতে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা পরিবেশে মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের ফল। এসময় তিনি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সহায়তায় সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সরকারকে বিশ্বে নজির স্থাপন করতে হবে।

বক্তব্য শেষে তিনি সংগঠনগুলোর আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন।  দাবিগুলো হলো- ১. অবিলম্বে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আমাজনের অগ্নিকা- বন্ধ করা, ২. আমাজনের অগ্নিকাণ্ডের কারণ বের করে তার স্থায়ী সমাধান করা, ৩. আমাজন রক্ষায় দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকার নয়টি দেশ থেকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া, ৪. সকল দেশের অংশগ্রহণে আমাজন রক্ষায় বৈশ্বিক অর্থ তহবিল তৈরি করা, ৫. আমাজনে পুনঃবনায়ন ও পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে বনায়ন বৃদ্ধির বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেয়া, ৬. আমাজন রক্ষায় ল্যাটিন দেশগুলোর প্রস্তাবিত বৈঠক বাস্তবায়ন করা, ৭. রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র অবিলম্বে বন্ধ করে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের সকল যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা এবং ৮. বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার সকল বনের উপর সরকারি-বেসরকারি সকল অত্যাচার বন্ধ করে বন রক্ষা নিশ্চিত করা।

এমআইআর/বিএস