• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:০৮ পিএম

রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নদী ধ্বংস করা হয়েছে

রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নদী ধ্বংস করা হয়েছে

পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন, দখল এবং দূষণ অব্যাহত রেখে আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না করে চলমান উদ্ধার তৎপরতা দীর্ঘমেয়াদে নদী ও দেশের জন্য মারাত্মক অকল্যাণকর। প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নদীগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশের নদী রক্ষায় নিবেদিত সামাজিক সংগঠনসমূহের জোট ‘বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব নদী দিবস ২০১৯’ এর জাতীয় প্রতিপাদ্য ঘোষণা ও অনুষ্ঠান প্রস্তুতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশের আহ্বায়ক ডা. মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সদস্য সচিব শেখ রোকনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রমূখ। 
ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, এবারের নদী রক্ষা দিবসের মূল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে নদীর জন্য পদযাত্রা। ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু করে সদরঘাট টার্মিনালে পদযাত্রা শেষ হবে।   

অধ্যাপক  ড. আহম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ নদীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নদীগুলোকেও রক্ষায় কাজ করতে হবে। প্রতি বছর গড়ে ১টি নদী ও ১৫টি খাল বিলুপ্ত হচ্ছে যা সারা বিশ্বের জন্য হুমকি। 

মিহির বিশ্বাস বলেন, রাজনৈতিক কারণে দেশের নদীগুলো দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। নদী উদ্ধার করে জায়গা নদীকেই ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা প্রবাহমান নদী চাই।

শরীফ জামিল বলেন, সীমানা যথাযথভাবে চিহ্নিত না করে নদী উদ্ধার একটি ত্রুটিপূর্ণ উদ্যোগ। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বড় বড় দখলদার চিরস্থায়ী বৈধতা পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

শেখ রোকন বলেন, নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে জনগণকে হুমকির সম্মূখীন হতে হয়। ফৌজদারি আইন ও সংশোধন করতে হবে। যেন দখলদাররা নদী কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ভয়ভীতি দেখানোর মতো দুঃসাহস না পায়।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন