• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম

নদী দখলের তথ্য দিলেই মিলবে পুরস্কার

নদী দখলের তথ্য দিলেই মিলবে পুরস্কার

দখলমুক্ত করার পর পরবর্তীতে নদীগুলো যাতে আবার দখল হয়ে না যায়- সেজন্য দখলদারদের তথ্য কর্তৃপক্ষকে জানাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে। আর এ কাজে জনগণকে উৎসাহিত করতে তথ্যদাতাদের পুরস্কৃত করার সুপারিশ করেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১১তম বৈঠক থেকে এমন সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের বীর উত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খান, মজাহারুল হক প্রধান, রণজিৎ কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়াও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থা/দফতরের প্রধানরা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নদী দখলকারীদের তথ্যদাতা বা সংবাদদাতাকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে চলছে। নৌ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ এগিয়ে নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তরফে সংসদীয় কমিটিকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ‘দেশের দখল হওয়া নদীগুলো দখলমুক্ত করার পর আর যেন বেদখল না হয়- এ ব্যাপারে জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সংবাদদাতাকে পুরস্কারের বিষয়টি কমিটির তৃতীয় বৈঠকেই সুপারিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানায়- নদী দখলকারীদের তথ্যদাতা বা সংবাদদাতাকে পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বৈঠকে শেষে জানান, দখলদারদের কারণে বাংলাদেশের নদীগুলো হুমকির মুখে। এ ব্যাপারে সরকার বিভিণ্ন পদক্ষেপ নিলেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নদী দখলের খবর দাতাকে পুরষ্কার দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে বলে জানিয়েছে। কমিটি এটি দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে।

একই কার্যপত্র থেকে আরও জানা যায়, নদী খননের জন্য এর তলদেশে থাকা পলিথিন ও আবর্জনা প্রথমে সরানোর জন্য স্ক্রলিং ক্লিনার আনার সুপারিশ করে কমিটির। কমিটির প্রথম বৈঠকে এই সুপারিশ করে। এর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয় ‘বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ২টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জলযান, ৬টি রিভার ক্লিনিং ভেসেলসহ বিভিন্ন ধরনের ৬১টি সার্ভিস জাহাজ এবং বিভিন্ন ধরনের ১৩২টি পন্টুন সংগ্রহের লক্ষে সমীক্ষা প্রস্তাব’ প্রকল্পের আওতায় ৬টি রিভার ক্লিনিক ভেসেলসহ অন্যান্য নৌযান সংগ্রহের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েট কর্তৃক সম্ভাবতা সমীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় গৃহীত নদী ড্রেজিং/খননসহ নদীর তীর রক্ষার্থে ওয়াক-ওয়ে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় রাতে যাতায়াতের জন্য চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ চ্যানেলে বয়াবাতি স্থাপনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন