বরগুনায় শনিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে চলেছে বুলবুলের তাণ্ডব। টানা ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারি বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর কারণে অসুস্থ নারী বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডিএন কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হালিমা খাতুন নামের ওই নারী অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন। এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ জানান, হালিমা খাতুন আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।
রাত দুটার দিকে বুলবুল বরগুনায় তাণ্ডব শুরু করে। ঘণ্টাব্যাপী ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার বেগে প্রবল বেগে বাতাসের সাথে ভারি বর্ষণ চলে। রাত তিনটার দিকে ঝড় ও বর্ষণ থেমে যায়। ফের রাত সোয়া চারটার দিকে থেমে থেমে ভারি বর্ষণ ও ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে টানা ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। সকাল নয়টা থেকে এখনো পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস অব্যাহত রয়েছে।
ঝড়ে গাছপালা ভাঙচুরের পাশাপাশি রোপা আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বিষখালী বলেশ্বচর ও পায়রা নদীর অন্তত ১০টি পয়েন্টের বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ৫ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। তাদের খাবার ও ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে।
কেএসটি