• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৪:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৪:১৫ পিএম

কপ২৫, মাদ্রিদ ২০১৯

দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে কড়া বিধি-নিষেধের আওতায় আনার দাবি

দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে কড়া বিধি-নিষেধের আওতায় আনার দাবি

জলবায়ু কনভেনশন কনফারেন্স কপ২৫

দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে কড়া বিধি-নিষেধের আওতায় আনতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু কনভেনশন কনফারেন্স কপ২৫-এ উপস্থিত পরিবেশবাদী বিশ্বজোটের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কপ২৫ সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক কনভেনশনে এই দাবি উত্থাপন করেন পরিবেশবাদী বিশ্বজোটের প্রতিনিধিরা।

তারা বলেন, শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু পরিস্থিতির অবনতির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। সেক্ষেত্রে এই সংকটাপণ্ন পরিস্থিতির অবনতি ত্বরান্বিত করছে সেই দেশগুলোর বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। আর তাই তাদের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতা চাপাতে হবে সবচেয়ে বেশি।

প্রতিনিধিরা বলেন, নির্ধারিত বিধি-বিধান প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা আরোপ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি রাষ্ট্রের সরকার ও প্রশাসনকে তৎপরতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে জলবায়ু রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সকল নীতিমালা ও চুক্তিসমূহ বাস্তবায়নে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হচ্ছে উষ্ণতা সংকট। এরইমধ্যে এই পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে স্বাভাবিক উষ্ণতার মাত্রা গড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ১.১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এই শতাব্দীতেই ৩.২ থেকে ৩.৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে উষ্ণতা, যা জীববৈচিত্র‍্যের অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া বৈশ্বিক জোটের প্রতিনিধিরা দূষণকারী শিল্পকে দায়বদ্ধ রাখার জন্য এবং তাদের সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতির ভর্তুকি হিসেবে প্রকৃতি ও জলবায়ু সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য করার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

অ্যাকশনএইড ইণ্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি লি হরজিৎ সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, এই বছরের সম্মেলনটি জলবায়ু সংকটের জন্য দূষিত শিল্পকে জবাবদিহি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বিশেষত ১৯০৮ সালের পর থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী। দুনিয়ার ১০০ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারকারী সংস্থাগুলোকে জবাবদিহির এমন সুযোগ এরআগে কখনও সৃষ্টি হয়নি।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে সংকট নিরসনের জোরালো দাবি নিয়ে আজ আমরা বিশ্বমঞ্চে উপস্থিত হয়েছে। পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের জন্য বসবাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে এই পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

ডিএসি/এসকে/এসএমএম

আরও পড়ুন