• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৪:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৪:৩৪ পিএম

‘জনগণ উড়াল সড়ক খেয়ে বাঁচবেনা, দরকার নির্মল বায়ু’

‘জনগণ উড়াল সড়ক খেয়ে বাঁচবেনা, দরকার নির্মল বায়ু’

চারদিকে উড়াল সড়ক দেখা গেলেও বায়ু দূষণ বিরোধী পদক্ষেপ হাতে নেয়া হচ্ছে না। নীতি প্রণয়নকারীদের এটা বুঝতে হবে জনগণ উড়াল সড়ক খেয়ে বাচঁবেনা, মানুষকে বাঁচতে হলে নির্মল বায়ু দরকার। কাজেই সব কিছুর বিকল্প থাকতে পারে কিন্তু নির্মল বায়ুর কোনো বিকল্প নাই।
 
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ রোধে সিটি করপোরেশনের কার্যকর ভূমিকার জন্য পাঁচ দফা দাবিতে এবং নাগরিক সচেতনতার জন্য নাগরিক সমাবেশে শিক্ষক, ছাত্রসহ পরিবেশবাদীরা এসব কথা বলেন। 

সমাবেশ শেষে সিটি করপোরেশনের মেয়রের নিকট স্মারকলিপি দেয়া হয়। নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসিবি) এবং এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্কের (ইডিএন) উদ্যোগে এ নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
 
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন-  স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড.আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। 

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক ম. ইনামুল হক, এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্কের নির্বাহী সমন্বয়কারী আর্নিকা তাসমীম মিতু, বাপার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এবং গ্রিন ভয়েজের সহ-সমন্বয়কারী সুমন হুসেন, সবুজ আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি বাপ্পি সরদার, গ্রিণ ভয়েজের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়কারী সাচিনু মারমা। সমাবেশে স্মারকলিপি পাঠ করেন এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্কের নির্বাহী সদস্য আল ফোরকান। সঞ্চালনা করেন এনসিসিবির কর্মী আল ইমরান।
  
অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ঢাকা মহানগরীর বায়ূ মান ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। নির্মল বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি আইন প্রণয়নের কথা কয়েক বছর থেকে শুনে যাচ্ছি কিন্তু আর কতদিন লাগবে আলোর মুখ দেখতে ?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা । প্রকল্প শুরু হবার আগেই আশি শতাংশ টাকা লোপাট হয়ে যায় এবং এর ফলে এক একটা প্রকল্প বছরের পর বছর ঝুলে থাকে আর এই ঝুলে থাকা প্রকল্প থেকে প্রতি নিয়ত বায়ু দূষিত হচ্ছে ।

এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্কের নির্বাহী সমন্বয়কারী আর্নিকা তাসমীম মিতু বলেন, ঢাকা নগরী এক বিশাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে । ঢাকা নগরী ক্রমাগত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে । আমদের হাতে বসবাসের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা নাই মাননীয় মেয়রের কাছে অনুরোধ আমাদের এই নির্মম নির্যাতন থেকে উদ্ধার করেন না হলে আমদের বিকল্প জায়গার কথা বলেদেন যেখানে গিয়ে আমরা বসবাস করতে পারি আর জীবন ধারন করতে পারি । তিনি নাগরিক সমাজের কাছে আহবান জানান বায়ুদূষণ রোধে সকেলেই যেন নিজনিজ স্থান হতে সক্রিয় হয় । 

পাঁচ দফার মধ্যে রয়েছে বায়ুদুষণ রোধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন। ঢাকা নগরীর বায়ুদূষণের উৎসগুলোকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বায়ুদূষণ রোধে সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন। সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে নাগরিক প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যম,আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী বায়ুদূষণ মনিটরিং টিম গঠন এবং ইটের ভাটা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি , অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা অপরিকল্পিত ভাবে পোড়ানো এবং যখন তখন খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ।

টিএস/বিএস