দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল প্রায় ৯টা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুধু তাপমাত্রাই কম নয়, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে গত কয়েকদিন ধরেই কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে। সূর্যের দেখা পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এ কারণে সামর্থহীন মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, সকালে তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ও এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগের দিন বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারিতে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয় শ্রীমঙ্গলে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আকাশ মেঘলা করে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সন্ধ্যার দিকে সেই বৃষ্টির ছটা রাজধানী পর্যন্ত চলে আসতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামগ্রিকভাবে বাড়তে পারে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চলতি শীতে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বুধবার ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চলতি শীতে এর কাছাকাছি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিন থেকে পাঁচ দিন শৈত্যপ্রবাহটি থাকতে পারে, তারপর শীতের স্বাভাবিক আবহাওয়া শুরু হতে পারে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টিএফ/এসএমএম