• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২০, ১০:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৮, ২০২০, ১০:৩৮ পিএম

আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুতির নির্দেশ

আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুতির নির্দেশ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এখন ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে মধ্যে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক প্রস্তুতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ও গতিপ্রকৃতি বলছে, ‘অতি প্রবল’ এই ঘূর্ণিঝড়টি বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই ধেয়ে আসছে, এটি উভয় দেশেই বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে। যা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যেই তৈরি হয়েছে আরেক দুর্যোগের আশঙ্কা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ২০ মে (বুধবার) বিকাল নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে, মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, অমাবস্যার প্রভাবের কারণে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়টি বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এবং বিশেষত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং চট্টগ্রামের মধ্য উপকূলীয় অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা আম্ফানকে একটি শক্তিশালী ‘ক্যাটাগরি-৪’ ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আটলান্টিক হারিকেন বা সুপার টাইফুন হিসেবে বিবেচিত।

সিএনএন টেলিভিশন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানায়, এই মাত্রার ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর দুর্বল হয়ে পড়ে, তবে, এর আগে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে, এমনকি ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের আশংকা থাকে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলার প্রশাসনকে জনগণের জীবন বাঁচাতে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে ১৩ হাজার ৭৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়া আম্ফানের কারণে সেখানে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ লাখ লোককে বেরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কামাল জানান, প্রচুর পরিমাণে চাল ও নগদ অর্থসহ শিশুরখাদ্য, শুকনো খাবার এবং গবাদি পশুদের খাদ্য উপকূলীয় অঞ্চলে জেলা প্রশাসনের বরাবর পাঠানো হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এসএমএম

আরও পড়ুন