• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২০, ০৫:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৪, ২০২০, ০৫:৩২ পিএম

হালদা থেকে ফের মৃত ডলফিন উদ্ধার

হালদা থেকে ফের মৃত ডলফিন উদ্ধার

হালদা নদীতে জালে আটকে আরও একটি ডলফিন মারা গেছে। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ডলফিনের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

রোববার (২৪ মে) সকালে রাউজান উপজেলার উরিরচর এলাকার হালদা অংশে এ ডলফিনটি মৃত অবস্থায় ভেসে উঠেছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এ ডলফিনটির মৃত্যুর খবর আসল।

এর আগে গত ৮ মে হালদায় আরেকটি ডলফিন হত্যা করা হয়।

ডলফিন হত্যা বন্ধে এক রিটের বিপরীতে উচ্চ আদালত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। হালদায় সার্বিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গত ১৯ মে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে এক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।

ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ডলফিনটির মুখে জাল পেঁচানো ছিল। যাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অবৈধ শিকারিদের জালে আটকা পড়ে ডলফিনটি মারা গেছে।

তিনি জানান, হালদায় গত তিন বছরে ২৫টি ডলফিন মারা গেছে। এগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এটির ওজন প্রায় ৮০ কেজি, দৈর্ঘ্য সাত ফুট এক ইঞ্চি।

রাউজান উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডলফিনটি উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেটিকে সৎকার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কী কারণে বা কীভাবে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললে সেটা বোঝা যাবে। যা মনে হচ্ছে, এটি কর্ণফুলী নদী থেকে ভেসে এখানে এসেছে।

ইউএনও দাবি করেন, তার প্রশাসনিক এলাকায় কোনও ধরনের মাছ শিকার বা অবৈধ জাল বসানোর ঘটনা ঘটে না। আগে ঘটলেও সেটা তিনি বন্ধ করেছেন।

হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উচ্চ আদালতের গঠিত কমিটির সদস্যসচিব চট্টগ্রাম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ) আবু নাসের মো. ইয়াসিন নেয়াজ বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশের পরপরই আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে হালদা পাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন করা যায়, সে বিষয় করণীয় নির্ধারণ করছি।

এসএমএম