কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে দেশের ৭৯ পয়েন্টের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে নীলফামারী ডালিয়ায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ভারী বর্ষায় মধ্য জুলাইয়ে এই মৌসুমের প্রথম বন্যা দেখা দিতে পারে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে।
সারা দেশে ভারী বৃষ্টিতে সমতলে নদীর পানি বাড়ছে। নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা অববাহিকায় থাকা নদ-নদী পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরই মধ্যে ভারতের গজল ডোবায় দো-মহনী তিস্তা পয়েন্টে হলুদ সংকেত জারি করেছে সেখানকার প্রশাসন। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইচগেট খুলে রাখা হয়েছে।
সাধারণত জুন ও জুলা্ই মাসে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় নদীর পানি বাড়ে। কিন্তু এবার এই সময় উজানের গঙ্গা ও পদ্মায় আশংকাজনক ভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণের উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য মতে, আগামী কয়েক দিনে ভারী বৃষ্টি কমে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিত হবে। তবে কোরবানি ঈদের আগে বন্যার আশংকা করছে তারা।
বন্য পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, দেশের নদ-নদীর ৭৯টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেলেও, বিপৎসীমার প্রায় দুই থেকে চার মিটার নীচে আছে।
জাগরণ/এমএ