• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯, ০৯:১১ পিএম

প্রকাশ্যেই চলছে কীর্তনখোলা নদী দখল উৎসব

প্রকাশ্যেই চলছে কীর্তনখোলা নদী দখল উৎসব

 

সারাদেশে নদী দলখমুক্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে সরকার। ঠিক সেই মুহুর্তে বরিশাল কীর্তনখোলা নদীতে চলছে দখল উৎসব। নদীর তীর থেকে প্রায় ৫ থেকে ৮ ফুট দীর্ঘ জমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা।

কীর্তনখোলা নদীর নগর প্রান্তে কেডিসি’র বিএডিসি ঘাট সংলগ্নে বিআইডব্লিউটিএ’র ওই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ভবন ও গুদাম ঘর। প্রকাশ্যেই এমন দখল উৎসব চললেও বিষয়টিতে নজরে আসছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিনে দেখাগেছে, বরিশাল নগরীর বিএডিসি ঘাট সংলগ্নে কীর্তনখোলা নদীর তীর থেকে ৫/৮ ফুট নদীর ভরাট করা অংশে গুদাম ও ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। নগরীর জর্ডন রোড এলাকার ‘বধুয়া লজ’ এর বাসিন্দা মোস্তাক হোসেন নামক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থেকে নদী দখলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এরই মধ্যে সেখানে একটি গুদাম ঘর ও একটি মেস ভবন গড়ে তোলা হয়েছে।

দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মোস্তাক হোসেন বলেন, ২০০৪ সালে আমি এবং কাজী ফখরুল আলম নামে দু’জন মিলে ৪২ লাখ টাকা দিয়ে বিএডিসি ঘাট সংলগ্ন ৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করি। যেখানে গুদাম ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা ওই জমির অংশ।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্বে জমির মালিক ছিলেন ফরিদা বেগম নামের একজন নারী। তিনি একজন সচিবের স্ত্রী। ফরিদা বেগম জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জমিটি লিজ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষেই তিনি ওই জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। আমাদের কাছে জমির বৈধ দলিলপত্রও রয়েছে।

এদিকে, শুধুমাত্র ওই জায়গাটিই নয়, বরং অনেক আগেই বিএডিসি ঘাটের পশ্চিম পাশে নদীর বিশাল অংশ দখল করেছে হাওলাদার আয়রন নামক অপর একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানেও নদীর বিশাল অংশ দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুদাম ঘর বানানো হয়েছে। তার পাশে ইট-বালু-পাথরের খোলার আড়লে দখল করা হয়েছে নদীর বিশাল অংশ।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কেডিসি এলাকায় নদী বন্দরের জমি রয়েছে। সেই জমিতেই ভবন বা গুদাম নির্মাণ হচ্ছে, নাকি নদী দখল করা হচ্ছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিএডিসি ঘাট সংলগ্নে কোন জমি বিআইডব্লিউটিএ লিজ দেয়নি। তাই বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।

অপরদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, সরকারি জমি লিজ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। কেউ চাইলেই ওই জমি কেনা-বেচা করতে পারবে না। যিনি ওই জমি নিজের দাবি করছেন তিনি কিসের উপর ভিত্তি করে নিজের দাবি করছেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। তবে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।


কেটি