• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম

মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের অবদান নিয়ে লন্ডনে আলোচনা সভা

মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের অবদান নিয়ে লন্ডনে আলোচনা সভা
যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় বক্তারা - ছবি : জাগরণ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লন্ডনে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান এবং নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিয়া স্নিগ্ধার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন নাহার লিনার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, কাউন্সিলর মজিবুর রহমান জসীম, সাবেক কাউন্সিলর রহিমা রহমান, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরা আঞ্জু এবং যুক্তরাজ্য যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমেদ খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গউস সুলতান। বিশেষ আলোচক ছিলেন শহমিকা আগুন।
 
অনুষ্ঠানের শুরুতে মাওলানা শফিকুর রহমান বিপ্লবী মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, সাবেক এমপি রহিমা আক্তার এবং বনানীর এফ আর টাওয়ারে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন। 
    
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে ৯ মাস কিন্তু বীরাঙ্গনাদের যুদ্ধ সারাজীবনের। ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। কখনও সহযোদ্ধা হিসেবে, কখনও সরাসরি। এছাড়াও অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবাশুশ্রূষা, তথ্য সরবরাহ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ, বস্ত্র ও ওষুধপত্র সংগ্রহ করে তাদের নিকট পৌঁছে দিয়েও যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন আমাদের নারীরা। মুক্তিযুদ্ধে পাকসেনা কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে ২ লাখ নারী। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা খেতাবে ভূষিত করেন। 

তারা বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর ২০১৫ সালের অক্টোবরে একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে তাদের অসামান্য অবদানের বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাওয়ার আগে বীরাঙ্গনাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল তারা টাকা চান কি না। কিন্তু তারা বলেছিলেন- তারা টাকা নয়, সম্মান চান।

বক্তারা বলেন, পাক হানাদার বাহিনী আত্নসমর্পণের আগে প্রায় ৭০,০০০ নারীকে নিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। সেখানে বেশিরভাগ নারীদের পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়া হয় আর বাকিদের অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়। ১৯৭৩ সালে কয়েকজনকে ফেরত আনা হয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ও অসুস্থ অবস্থায়। কিন্তু কিছুদিন পরে তারা মারা যান। আমরা যখন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরব তখন মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথাও তুলে ধরতে হবে, কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অপরিসীম। 
   
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন লিটন, লন্ডন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, ইতালি মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহনাজ সুমি, আব্দুল বাসির, সাংবাদিক মাতিয়ার চৌধুরী, সায়েক আহমেদ, গুলাব আলী, আলিমুদ্দিন আহমেদ, রিনা মোশারাফ, ফারজানা ইসলাম, সাংবাদিক নুরুন নাবী আলী, আবু হেলাল, আমিনুল খান, কবি হাফসা ইসলাম, রেডিও প্রেজেন্টার মিফাতুল নূর, খালেদ আহমেদ জয়, সাংবাদিক মাসুদ আহমদ, সাংবাদিক কয়েস আলী, সাংবাদিক শুভ, সাংবাদিক ইমাম হোসেন, কবি মুনিরা মলি, মাহমুদা মনি, হাসিনা হুসাইন, দুদু মিয়া প্রমুখ।

এফসি

  • প্রবাস এর আরও খবর