
পুর্ব লন্ডনে দুই সন্তানের জননী বাংলাদেশী বংশদ্ভূত নাজিয়া আলী বেগমকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তার স্বদেশী স্বামী মোহাম্মদ আনহার আলী। গত বুধবার ওল্ড বেইলী আদালতে মামলার শুনানীকালে ঘাতক স্বামী আনহার খুনের দায় স্বীকার করে অনুশোচনা করে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) আদালত সুত্রে ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, পুর্ব লন্ডনের জাহানারা বেগমের কন্যা নাজিয়া বেগম বো এলাকার এলসমেয়ার রোডের একটি বাড়ীর বাসিন্দা ছিলেন। নাজিয়াকে হত্যার সময় দুই শিশুসন্তান ঘরের উপরের তলার বেডরুমে ঘুমোচ্ছিল।
আনহার আদালতে স্বীকার করে, দড়ি দিয়ে বেধেঁ ছুরি দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রী নাজিয়া বেগমের মৃত্যু নিশ্চিত করে সে। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ লাশ উদ্ধারের সময় বলেছিল, নৃশংসভাবে নাজিয়াকে হত্যা করা হয়। আদালতে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে দেয়া জবানবন্দিতে আনহার আলী বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ চাদর দিয়ে ঢেকে রেখে দুই সন্তানের সাথে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কয়েক ঘন্টা পর তিনি ঘুম থেকে জেগে পুলিশকে ফোন করে জানান, তিনি তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। গত বছরের ২২ অক্টোবরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়।
নাজিয়া দু'বছর আনহারের সাথে সংসার করার পর ২০১৭ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন। পরে এ দম্পতি আলাদা থাকা শুরু করেন। গত বছরের এপ্রিলে নতুন এক সস্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নাজিয়া। আর এ সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই আনহার নাজিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। অন্য সম্পর্কের কথা জানতে পেরে আনহার নাজিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আদালতে উপস্থাপিত সসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় বেথনাল গ্রীনের একটি দোকান থেকে স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুটো ছুরি ও দড়ি কেনে আনহার।
এ মামলায় আগামী ১৭ এপ্রিল লন্ডনের ওল্ড বেইলী কোর্টে আনহার আলীর সাজা ঘোষনা করা হবে।
অভিযুক্ত স্বামী আনহার ও তার নিহত স্ত্রী নাজিয়া দুজনেই সিলেটের বাসিন্দা। নাজিয়া ও আনহার দম্পতির তিন ও পাচঁ বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এআর/এসকে