যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো মুক্তি পাচ্ছে বাংলা চলচিত্র ‘সংগ্রাম’। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে নির্মিত ছবিটি। চলচ্চিত্রটির লেখক, পরিচালক ও নির্মাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মুনসুর আলী। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক জমজমাট আয়োজনে চলচ্চিত্রটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডনের থেমস নদীতে ভাসমান ঐতিহাসিক ‘ওয়েলিংটন’ জাহাজে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি ব্রিটিশ মূল ধারার রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

১৪০ মিনিটের এই চলচ্চিত্রে ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা এবং বীরাঙ্গণাদের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের এতিহাসিক প্রেক্ষাপট। 

ছবিটির পরিচালক জানান, বাংলা ভাষায় গল্পের বর্ণনা এবং ইংরেজি সাবটাইলে তৈরি এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য। বাঙালির স্বকীয় সংগ্রামের ইতিহাস যুক্তরাজ্যে বেড়ে উঠা বাঙালি নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তুলে ধরার তাড়না থেকেই তিনি ‘সংগ্রাম’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমান রেজা, দিলরুবা ইয়াসমিন রুহি ও ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা অনুপম খের সহ আরও অনেকে। 

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য রূপা হক তার ছেলেকে নিয়ে ‘সংগ্রাম’ এর অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রটি দেখার পর তার স্মৃতিপটে নতুন করে জাগ্রত হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভপাতি সুলতান মাহমুদ শরীফ অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, চলচ্চিত্রে বাঙালির ওপর যেসব নির্মমতার চিত্র দেখানো হয়েছে, সেসব তিনি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর বহরে থাকা ঐতিহাসিক ‘এইচকিউএম ওয়েলিংটন’ জাহাজের ক্যাপ্টেন মাস্টার বুথ আর তার স্ত্রী ল্যাডি বুথও অভিষেক অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন। তারা ইতিহাস নির্ভর এই চলচ্চিত্রের ভূয়শী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের সেক্রেটারি জন গারউড, এনটিভি ইউরোপের সিইও সাবরিনা হোসেন, কমিউনিটি অ্যানগেজমেন্ট অফিসার জাকির খান, গ্রেটার লন্ডন অথোরিটির সাবেক সদস্য মুরাদ কুরেশী, সাবেক কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ান আলী জ্যাকো, বাংলাদেশের নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নোমান রোবিনসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।

বিএস