জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের ক্ষণগণনা অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে কানাডার রাজধানী অটোয়াসহ বিভিন্ন প্রদেশের বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং অত্র হাই কমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ গ্রহন করেন।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী যথাক্রমে পাঠ করেন হাই কমিশনের উপ হাই কমিশনার চিরঞ্জীব সরকার, মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান মিয়া মোঃ মাইনুল কবির, কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) দেওয়ান হোসনে আইয়ুব এবং কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মোঃ শাকিল মাহমুদ। বাণী পাঠ শেষে একটি উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে মাসুদ সিদ্দিকি, বাহাউদ্দিন শিশির, কবির চৌধুরী, জুলফি সাদিক, প্রফেসর নিপা ব্যাণার্জী, বেগম রাশেদা নেওয়াজ, হাই কমিশনের প্রথম সচিব অপর্ণা রানী পাল, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুল হক প্রমূখ এ দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির স্বাধীনতা পরিপূর্নতা পায় বলে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ব জনমতের চাপেই পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্র তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে হাই কমিশনার জনাব মিজানুর রহমান জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, মৃত্যুকে তুচ্ছ করে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেন। বঙ্গবন্ধু ও বাঙ্গালী জাতি হয়ে উঠে এক অবিচ্ছিন্ন সত্তা, যে কারণেই তাঁর এ প্রত্যাবর্তন ছিল বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সার্থকতার এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত বলে হাই কমিশনার মত প্রকাশ করেন।
এরপর হাই কমিশনার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অত্র হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল ওয়াচ-এর মাধ্যমে ক্ষণগণনার শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত কমিউনিটির আমন্ত্রিত অথিথিবৃন্দ শুভ উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করেন।